সুইজারল্যান্ডে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সুইজারল্যান্ডে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নতুন করে আরও যেসব দেশে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছড়িয়েছে

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী বিক্ষোভ আরও নতুন নতুন দেশে ছড়িয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধের দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় চলমান বিক্ষোভ একপর্যায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই তালিকায় যুক্ত হয় ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত ও লেবাননের নাম।

নতুন করে যেসব দেশে শিক্ষার্থী বিক্ষোভ ছড়িয়েছে, এর মধ্যে আছে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও মেক্সিকো।

জার্মানি

গত শুক্রবার জার্মানির বার্লিনের হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, অন্য জায়গায় ক্যাম্প করতে বিক্ষোভকারীরা অস্বীকৃতি জানান। এরপরই পুলিশ বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে জোর করে সরিয়ে দেয়।

বার্লিনের মেয়র কাই ওয়েগনার এই বিক্ষোভের সমালোচনা করেছেন। তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছেন, এই শহর (বার্লিন) যুক্তরাষ্ট্র বা ফ্রান্সের মতো ঘটনা দেখতে চায় না।

আয়ারল্যান্ড

আয়ারল্যান্ডের ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিনের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। তাঁরা তাঁদের এই প্রতিবাদী কর্মসূচিকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি হিসেবে বর্ণনা করেন।

মেক্সিকো

মেক্সিকোর বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় ইউএনএএমের বেশ কিছু শিক্ষার্থী গত বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানীতে একটি ক্যাম্প স্থাপন করেন। তাঁরা নানা স্লোগান দেন। এসব স্লোগানের মধ্যে ছিল ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’ ও ‘নদী থেকে সমুদ্র, ফিলিস্তিন হবে মুক্ত’।
মেক্সিকোর এই বিক্ষোভকারীরা চান, দেশটির সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করুক।

সুইজারল্যান্ড

সুইজারল্যান্ডের লুসান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনের প্রবেশদ্বার বৃহস্পতিবার থেকে দখল করে আছেন প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী। বিক্ষোভকারী এই শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলকে একাডেমিক বয়কট এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছেন। তাঁদের শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি কাল সোমবার পর্যন্ত চলবে।