ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বন্দী বিনিময়ের অংশ হিসেবে দশজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ব্রিটিশ ও মার্কিন নাগরিক রয়েছেন। তাদের সৌদি আরবে নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের কর্মকর্তারা বুধবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক টু্ইটবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, রাশিয়ার হাতে বন্দী থাকা এই ১০ জনের মুক্তির মধ্যস্থতায় কাজ করেছেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
এমন সময়ে এই বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হলো যখন ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আংশিকভাবে সেনা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম রাশিয়া এ ধরনের সেনা সমাবেশ করতে যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যে ১০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে দুজন যুক্তরাষ্ট্র, পাঁচজন যুক্তরাজ্য এবং ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো ও সুইডেনের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। সৌদি আরবের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে তাঁদের সৌদি আরবে আনার পর নিজ নিজ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করেনি সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তবে নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ছাড়া পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের দুজন হলেন অ্যালেক্স ড্রুক ও অ্যান্ডি তাই এনগোক হুইন। দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক সদস্য। ইউক্রেন যুদ্ধে দেশটির বাহিনীর সেনাদের সাহায্য করতে তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন।
ব্রিটিশ ওই পাঁচ নাগরিকও ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে সেখানে গিয়েছিলেন। ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা রবার্ট জেনেরিক জানিয়েছেন, মুক্তি পাওয়া পাঁচজনের মধ্যে একজনের নাম এইডেন অ্যাসলি। দোনেৎস্ক থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর বিচারে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল।
বন্দীদের মুক্তির পর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। মাসের পর মাস অনিশ্চয়তা ও দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর বন্দী ও তাঁদের পরিবারের জন্য এটা দারুণ খবর মন্তব্য করেছেন তিনি।