সংকটের মধ্যে পড়েছে ফ্রান্সের মদ শিল্প। কমছে ওয়াইনের চাহিদা। বিকল্প হিসেবে বিয়ারসহ অন্য পানীয়কে বেছে নিচ্ছে মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে বাড়তি ওয়াইন নষ্ট করতে এবং উৎপাদনকারীদের সহায়তা দিতে ২০ কোটি ইউরো (প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা) বরাদ্দ দিচ্ছে ফ্রান্স সরকার।
করোনা মহামারির কারণে আগে থেকেই মন্দায় ছিল ফ্রান্সের ওয়াইন বাজার। এরপর আবার জীবনযাত্রার বাড়তি খরচ এবং অভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে মানুষ ওয়াইন কেনা কমিয়েছে। চাহিদা কমার কারণে অনেক ওয়াইন অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। এ ছাড়া ওয়াইনের উৎপাদনও বেশি হয়েছে। ফলে কমে যাচ্ছে দাম। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন ফ্রান্সের ওয়াইন ব্যবসায়ীরা।
প্রাথমিকভাবে ওয়াইন নষ্টের জন্য ১৬ কোটি ইউরো বরাদ্দ দিয়েছিল ফরাসি সরকার। পরে তা বাড়িয়ে ২০ কোটি করা হয়। এই অর্থ দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবিক্রীত ওয়াইন কিনে তা নষ্ট করা হবে। তারপর তা থেকে অ্যালকোহল সংগ্রহ করা হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সুগন্ধিসহ নানা পণ্য তৈরি করতে সেই অ্যালকোহল আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হবে।
এর আগে ফ্রান্সের বোরদো অঞ্চলে প্রায় ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আঙুর চাষ বন্ধের কারণে ক্ষতির মুখে পড়া কৃষকদের গত জুনে ৫ কোটি ৭০ লাখ ইউরো দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া আঙুরের বদলে কৃষকদের জলপাইয়ের মতো অন্য ফসল চাষে উৎসাহী করতেও অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে ফ্রান্স সরকার।
ইউরোপীয় কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে ফ্রান্সে ওয়াইনের চাহিদা কমেছে ১৫ শতাংশ। এ ছাড়া ইতালিতে ৭, স্পেনে ১০, জার্মানিতে ২২ ও পর্তুগালে ৩৪ শতাংশ করে ওয়াইনের চাহিদা কমেছে। অপরদিকে এই জোটের দেশগুলোতে ওয়াইনের উৎপাদন বেড়েছে ৪ শতাংশ।