সিআইএর উপপরিচালক ডেভিড কোহেন
সিআইএর উপপরিচালক ডেভিড কোহেন

বেহাত এলাকা পুনরুদ্ধারে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়বে রাশিয়া: সিআইএ উপপরিচালক

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের যে অংশ ইউক্রেনের সেনাদের দখলে গেছে, তা পুনরুদ্ধারচেষ্টায় পাল্টা আক্রমণ চালাবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু তা করতে গিয়ে রুশ বাহিনী একটি কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর উপপরিচালক ডেভিড কোহেন গতকাল বুধবার এসব কথা বলেছেন।

জাতীয় নিরাপত্তা শিল্পসংক্রান্ত এক সম্মেলনে কোহেন বলেন, রাশিয়ার ভেতরের প্রায় ৭৭৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের এই অভিযানের তাৎপর্য কী, তা দেখার বাকি আছে।

তবে কিয়েভের দাবি, ইউক্রেনের সেনারা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের ১ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ৬ আগস্ট রাশিয়ার পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে দেশটির কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়ে। অতর্কিত হামলা চালিয়ে তারা কুরস্ক অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা দখল নিয়েছে। কুরস্ক অঞ্চলে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।

গোয়েন্দা ও জাতীয় নিরাপত্তা সম্মেলনে কোহেন বলেন, ইউক্রেন বলছে, দখলকৃত এলাকা নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার কোনো ইচ্ছা কিয়েভের নেই। ইউক্রেনের সেনারা শুধু প্রতিরক্ষারেখা তৈরি করছেন। এতে মনে হচ্ছে, তাঁরা কিছু সময়ের জন্য সেই অঞ্চলের কিছু অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান।

ডেভিড কোহেন বলেন, তাঁরা নিশ্চিত যে বেহাত এলাকা পুনরুদ্ধার চেষ্টায় পুতিন একটি পাল্টা আক্রমণ চালাবেন। আর তাঁর ধারণা, রাশিয়ার জন্য এটি একটি কঠিন লড়াই হবে।

সিআইএর উপপরিচালক আরও বলেন, যুদ্ধ এখন রাশিয়ার ভেতরে এসে পড়েছে। পুতিনকে বিষয়টি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আবার রুশ ভূখণ্ডের একটি অংশ বেহাত হওয়া নিয়ে তাঁর নিজ দেশের ভেতর থেকে ওঠা কথাবার্তাও তাঁকে সামলাতে হচ্ছে।

কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সাফল্য যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন কোহেন। তবে সেটি কীভাবে, তা ব্যাখ্যা করেননি তিনি।

গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত সংলাপের মাধ্যমেই শেষ হবে। তবে কিয়েভকে শক্তিশালী অবস্থানে থাকতে হবে। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তাঁর দুই সম্ভাব্য উত্তরসূরির কাছে এ-সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা তুলে ধরবেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন অবশ্য বলেছেন, যেকোনো চুক্তির শুরুটা হওয়া উচিত যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতা ইউক্রেনের মেনে নেওয়ার মধ্য দিয়ে। এর অর্থ হলো, ক্রিমিয়াসহ ইউক্রেনের যে অঞ্চলগুলোর দখল এখন রাশিয়ার হাতে রয়েছে, তার আশা কিয়েভের চিরতরে ছেড়ে দেওয়া।