যুক্তরাজ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টিসহ বিভিন্ন দলের মনোনয়নে ও স্বতন্ত্রভাবে ৩৪ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে চারজন জয়ী হয়েছেন। সবাই জিতেছেন লেবার পার্টির হয়ে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এসব প্রার্থীর মধ্যে লেবার পার্টির প্রার্থী রুশনারা আলী বেথনালগ্রিন অ্যান্ড স্টেপনি আসন থেকে ১৫ হাজার ৮৯৬, রূপা হক সেন্ট্রাল ইলিং অ্যান্ড অ্যাকটন আসন থেকে ২২ হাজার ৩৪০, টিউলিপ সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে ২৩ হাজার ৪৩২, আপসানা বেগম পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস থেকে ১৮ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে আবার নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া লেবার পার্টির মনোনীত অন্য প্রার্থীদের মধ্যে উইথহাম আসনে ১৩ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন রুমী চৌধুরী, সাউথ নর্দাম্পটন আসন থেকে ১৫ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন রুফিয়া আশরাফ, ব্রিগ অ্যান্ড ইমিংহাম আসন থেকে ১২ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন নাজমুল হোসাইন। এর বাইরে গর্ডন অ্যান্ড বোচান আসন থেকে ৪ হাজার ৬৮৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন নুরুল হক আলী।
তা ছাড়া কনজারভেটিভ পার্টিসহ অন্যান্য দলের মনোনয়নে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আর ২৬ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে দুই-একজন ছাড়া অন্যরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন না।
বেথনালগ্রিন অ্যান্ড স্টেপনি আসনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী রাবিনা হক ৪ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে তৃতীয়, টটেনহামে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী আতিক রহমান ২ হাজার ৩২০ ভোট পেয়ে চতুর্থ, ইলফোর্ড সাউথে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী সাঈদুজ্জামান সাঈদ ৬ হাজার ১৪২ ভোট পেয়ে তৃতীয়, একই আসনে গ্রিন পার্টির সাঈদ সিদ্দিকী ৩ হাজার ৪৩৭ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন।
কট্টরপন্থী রিফর্ম ইউকে দল থেকে রাজ ফরহাদ ২ হাজার ৩২৯ ভোট পেয়ে পঞ্চম ও ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন থেকে গোলাম টিপু ১ হাজার ৩৬৬ ভোট পেয়েছেন। স্টার্টফোর্ড অ্যান্ড বো আসন থেকে ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেনের প্রার্থী হালিমা খান ৩ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় ও একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম আলী ২ হাজার ৩৮০ ভোট পেয়ে পঞ্চম এবং ওমর ফারুক ১ হাজার ৮২৬ ভোট পেয়ে অষ্টম হয়েছেন।
ডুনফারমলাইন অ্যান্ড ডলার আসন থেকে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নাজ আনিস মিয়া ১২ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়, হেকনি সাউথ আসন থেকে ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেনের প্রার্থী সাহেদ হোসাইন ১ হাজার ৭ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ, বেডফোর্ড আসন থেকে ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেনের প্রিন্স সাদিক চৌধুরী ৯৯৬ ভোট পেয়ে সপ্তম, ওল্ডহাম ওয়েস্ট, চ্যাডেরটন অ্যান্ড রয়টন আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজা মিয়া ২ হাজার ৪৭০ ভোট পেয়ে পঞ্চম, একই আসন থেকে গ্রিন পার্টির সাঈদ শামসুজ্জামান ১ হাজার ৮৫৭ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছেন।
আলট্রিনচাম অ্যান্ড সেইল ওয়েস্ট আসন থেকে ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেনের প্রার্থী ফয়সাল কবির ৬৪৩ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ, ম্যানচেস্টার রসমোল আসনে ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেনের প্রার্থী মোহাম্মদ বিলাল ৩ হাজার ৬৬০ ভোট পেয়ে তৃতীয়, লেস্টার সাউথ আসনে গ্রিন পার্টির প্রার্থী শারমিন রহমান ২ হাজার ৬৩৮ ভোট পেয়ে চতুর্থ, ফ্লোকস্টোন অ্যান্ড হৈইথ আসনে সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রার্থী মমতাজ খানম ২৪৯ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ, নিউক্যাসল সেন্ট্রাল অ্যান্ড ওয়েস্ট আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিব রহমান ১ হাজার ৬৩৬ ভোট পেয়ে সপ্তম হয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও বেথনালগ্রিন অ্যান্ড স্টেপনি আসনে বেশ ভালো করেছেন আজমল মাশরুর। তিনি ১৪ হাজার ২০৭ ভোট পেয়ে রুশনারা আলীর কাছে হেরে যান। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাম উদ্দিন ৩২৫, সুমন আহমেদ ৩১৫ ভোট পেয়েছেন। পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসনে আপসানা বেগমের সাবেক স্বামী স্বতন্ত্র প্রার্থী এহতেশামুল হক ৪ হাজার ৫৫৪ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। ইলফোর্ড সাউথ আসন থেকে ৯ হাজার ৬৪৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন নূরজাহান বেগম। হলবর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাস আসনে ওয়েইস ইসলাম ৬৩৬ ভোট পেয়ে সপ্তম হয়েছেন।