প্রতিদিনের মতোই আইফেল টাওয়ার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার আগে চারপাশটা ঘুরে দেখছিলেন নিরাপত্তা প্রহরীরা। হঠাৎই টাওয়ারের একটি জায়গায় গিয়ে চমকে ওঠেন তাঁরা।
জায়গাটি পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ হলেও সেখানে দিব্যি ঘুমিয়ে আছেন দুজন। তাঁদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতে নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যাপক কসরত করতে হয়। শুধু তা–ই নয়, রীতিমতো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ডেকে আনতে হয়েছে সেখানে।
গতকাল মঙ্গলবার আইফেল টাওয়ারের পরিচালনা বিভাগ সেতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঘুমিয়ে পড়া ওই দুই পর্যটক মার্কিন নাগরিক। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রোববার সারা রাত টাওয়ারের ভেতরেই ঘুমিয়েছেন তাঁরা। সোমবার ভোরে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের জাগিয়ে তোলেন।
ফ্রান্সের প্যারিসে আইকনিক স্থাপত্য আইফেল টাওয়ারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় লেভেলের মাঝামাঝি জায়গাটিতে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। রোববার রাতে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সেখানেই ঢুকে পড়েছিলেন ওই দুই পর্যটক। তবে সেতে কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ ঘটনায় কোনো হুমকি তৈরি হয়নি।
প্যারিসের কৌঁসুলিরা বলেছেন, অতিরিক্ত মদ পানের কারণে দুই মার্কিন পর্যটক বেসামাল হয়ে পড়েছিলেন।
পুলিশ সূত্র বলেছে, রোববার রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রবেশ টিকিট কিনে ওই দুই ব্যক্তি আইফেল টাওয়ারে ওঠেন। টাওয়ারের ওপর দিক থেকে আসা একটি সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় তাঁরা একটি নিরাপত্তাবেষ্টনী টপকে যান এবং দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় লেভেলের মাঝামাঝি জায়গাটিতে ঢুকে পড়েন।
পুলিশ সূত্র আরও বলেছে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে বিপজ্জনক উচ্চতা থেকে লোকজনকে উদ্ধার করায় পারদর্শী একটি বিশেষ ইউনিটও ছিল। পরে ওই পর্যটকদের টাওয়ার থেকে নামিয়ে আনা হয়।
দুই ব্যক্তিকেই প্যারিসের সেভেনথ ডিস্ট্রিক্টের পুলিশ স্টেশনে নেওয়া হয়েছে। সেতে বলেছে, এ ঘটনায় ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ করবে।
এদিকে ঘুমিয়ে পড়া এই দুই ব্যক্তিকে নামিয়ে আনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে এক ঘণ্টা দেরিতে খুলেছে আইফেল টাওয়ার। সাধারণত সকাল ৯টায় টাওয়ারটি খোলা হয় এবং মধ্যরাত পর্যন্ত এটি খোলা থাকে।
এর আগে গত শনিবার আইফেল টাওয়ারে বোমা হামলার হুমকি পাওয়ার পর তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনায়ও পুলিশের তদন্ত চলছে।