রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে ১০ হাজার ড্রোন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপসের কিয়েভ সফরকালে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, অত্যাধুনিক ড্রোন তৈরিতে আরও ১২৫ মিলিয়ন (সাড়ে ১২ কোটি) পাউন্ড ব্যয় করছে দেশটি। এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের জন্য সব মিলিয়ে যুক্তরাজ্যের ড্রোন প্যাকেজের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৩২৫ মিলিয়ন (সাড়ে ৩২ কোটি) পাউন্ড।
এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এ অর্থ দিয়ে বছরজুড়ে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে ১০ হাজার ড্রোন সরবরাহ করা হবে।
‘কামিকাজে’, নজরদারি ও সামুদ্রিক ড্রোনের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুত অধিকাংশ ড্রোন হবে তাৎক্ষণিক ভিডিও ও স্থিরচিত্র সরবরাহকারী (এফপিভি) ড্রোন।
তৃতীয়বারের মতো ইউক্রেন সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন শ্যাপস। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যের বিশ্বমানের সমরাস্ত্র কারখানাগুলোতে থেকে আসা অত্যাধুনিক নতুন ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনকে অস্ত্রসজ্জিত করার আমাদের প্রতিশ্রুতি আমি জোরদার করছি।’
ব্রিটেন বলেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে কিয়েভকে ৭০০ কোটি পাউন্ডের বেশি সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। কয়েক হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছে দেশটি।
প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যই ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে দূরপাল্লার অস্ত্র সরবরাহ করেছে। দেশটি গত বছরের মে মাসে ইউক্রেনকে আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দেয়।
ইউক্রেন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাচ্ছে ৮ লাখ গোলা: চেক প্রজাতন্ত্র
এদিকে গতকালই চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট পেত্র পাভেল বলেছেন, ইউরোপের বাইরে থেকে কেনা আট লাখ গোলা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছাবে। এমন সময় তিনি এ কথা জানালেন, যখন অস্ত্র ফুরিয়ে আসা ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার দুই বছরের পুরোনো আগ্রাসন ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে।
চেক রাষ্ট্রপ্রধান একজন সাবেক ন্যাটো জেনারেল। তিনি বলেন, এসব গোলা কিনতে ‘চেক ইনিশিয়েটিভ’ নামে ১৮ দেশের একটি জোট অর্থ সংগ্রহ করেছে। এমন সময় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়, যখন ইউরোপের সমরাস্ত্র কারখানাগুলো ইউক্রেনে সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র উৎপাদনে পিছিয়ে পড়ে।