উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক (লঞ্চার) ইউক্রেনে চালানো সাম্প্রতিক হামলায় ব্যবহার করছে রুশবাহিনী। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার এমন দাবি করা হয়েছে।
ইউক্রেনে রুশবাহিনীর সর্বাত্মক হামলা শুরুর দুই বছর হতে চলেছে। এ সময়ে এসে অস্ত্রের সংকট কাটাতে মিত্রদের কাছ থেকে সহায়তা প্রত্যাশা করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পশ্চিমাদের দাবি, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র ইতিমধ্যে যুদ্ধে ব্যবহার শুরু করেছে রাশিয়া। আর ইরানের কাছ থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র পেতে চাইছেন পুতিন।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন সম্প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপকের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এর পরপরই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে উত্তর কোরিয়ায় উৎপাদিত ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের দাবি করা হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবি জানান, সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনে রুশবাহিনীর অন্তত দুটি হামলায় ব্যবহার করা ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়ার সরবরাহ করা। এসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ৯০০ কিলোমিটার বা ৫৫০ মাইল দূরের লক্ষ্যে হামলা চালাতে সক্ষম।
হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে জন কারবি সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে যেসব তথ্য রয়েছে, তাতে এটাই ইঙ্গিত করে যে সম্প্রতি মস্কোকে কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক সরবরাহ করেছে উত্তর কোরিয়া।’
জন কারবি জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর উত্তর কোরিয়ার সরবরাহ করা একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলে খোলা জমিতে পড়েছে। রুশবাহিনী এটা ছেড়েছে। অন্যদিকে ২ জানুয়ারি ইউক্রেনে আকাশপথে ব্যাপক পরিসরে হামলার সময় ‘কয়েকটি’ উত্তর কোরীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে মস্কো।
এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও রাশিয়ার প্রতি উত্তর কোরিয়ার সমর্থন বাড়ানোর প্রমাণ—এমন মন্তব্য করেন জন কারবি।
জন কারবি আরও বলেন, চলমান যুদ্ধে সামরিক সহায়তা নিয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে মার্কিন কংগ্রেসকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সহায়তা প্রস্তাব পাস করাতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমনটাই প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তা না হলে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের সরবরাহ লাইন দ্রুত কমে আসবে।
রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনের জন্য আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ অগ্রাধিকার তালিকায় ছিল মন্তব্য করে জন কারবি বলেন, কংগ্রেসের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার এটাই সময়।