ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডানপন্থী মিশেল বার্নিয়েকে মনোনীত করার প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাজপথে নেমেছেন হাজারো মানুষ। আজ শনিবার সারা দিনে রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন শহরে শতাধিক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মাস দু–এক আগে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তবে বেশির ভাগ আসন পেয়েছে বামপন্থীরা। তাই বামপন্থীদের এড়িয়ে একজন ডানপন্থীকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নেওয়ার প্রতিবাদেই এ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও বামপন্থী দল।
সম্প্রতি মিশেল বার্নিয়েকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। ব্রেক্সিট বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বার্নিয়ে। যদিও তিনি বলেছেন, বামপন্থীসহ সব ধারার রাজনীতিকদের নিয়ে সরকার গঠন করতে চান তিনি।
আজ প্যারিসে বিক্ষোভে অংশ নেন কট্টর বামপন্থী ফ্রান্স আনবোয়েড পার্টির নেতা জ্যঁ–লুক মেলেশোঁ। সেখানে স্লোগান দিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য মাখোঁর কূটকৌশল রুখে দিতে হবে। এ সময় সেখানে উপস্থিত অন্যদের ‘গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে’, ‘নির্বাচন চুরি হয়ে গেছে’—এমন স্লোগান দিতে শোনা যায়। স্থানীয় সময় বিকেলের পরে বিক্ষোভ আরও জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লুসি কাস্তেকে চেয়েছিল ফ্রান্সের বামপন্থী দলগুলো। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেন মাখোঁ। তাঁর ভাষ্য ছিল, জাতীয় পরিষদে যদি আস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়, তাহলে কাস্তের টিকে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই।
তবে আস্থা ভোট হলে হয়তো উতরে যাবেন মিশেল বার্নিয়ে। কারণ, জাতীয় পরিষদের ডানপন্থীরা জানিয়েছেন, তাঁরা বার্নিয়ের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন না। পরিষদে ডানপন্থীদেরও অনেক আসন রয়েছে। এ সমর্থনের কারণেও সমালোচনার মুখে পড়ছেন বার্নিয়ে। অভিযোগ করা হচ্ছে, সমর্থন পাওয়ার জন্য ডানপন্থীদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন তিনি।