এদিকে আইসিসির প্রসিকিউটর ও বিচারকদের বিরুদ্ধে রাশিয়ায় পাল্টা ফৌজদারি মামলা হয়েছে।
ইউক্রেনে সংঘটিত সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের ঘটনায় ‘ব্যবস্থা গ্রহণে দ্বিধা করবেন না’ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। গতকাল সোমবার আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খান এ কথা বলেছেন। এদিন লন্ডনে ৪০টির বেশি দেশের মন্ত্রীরা এক সম্মেলনে মিলিত হয়েছেন।
গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তাঁর কার্যালয়ের শিশু অধিকারবিষয়ক কমিশনার মারিয়া এলভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আইসিসি। এরই ধারাবাহিকতায় ইউক্রেন সংঘাত তদন্তে সমর্থন বাড়াতে লন্ডনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর ইউক্রেনীয় শিশুদের ‘বেআইনিভাবে বিতাড়িত’ করার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয় এ দুজনের বিরুদ্ধে।
লন্ডন সম্মেলনের আগে করিম খান বলেন, নৃশংসতার অভিযোগগুলোর বিষয়ে আইসিসির অন্যান্য তদন্ত চলমান রয়েছে; কিন্তু তহবিল ও কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন। বিবিসি রেডিওকে তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি বিচারের ক্ষেত্রে আমাদের একটি মানদণ্ড আছে, যা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। আমরা সবকিছু একসঙ্গে করতে পারি না। আমাদের সীমাহীন সম্পদ নেই।’
আইসিসির প্রসিকিউটর বলেন, সর্বোপরি যদি সাক্ষ্য-প্রমাণগুলো জড়ো করা যায় এবং সংগ্রহ করা যায়, যদি এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ না থাকে যা অপরাধ সংঘটনের দায়কে দুর্বল কিংবা লঘু করে, তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণে দ্বিধা করব না।’
ইউক্রেন সংঘাত তদন্তে আরও সহযোগিতা চেয়ে বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন আইসিসি। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাজ্যের বিচারমন্ত্রী ডমিনিক রাব এবং নেদারল্যান্ডসের বিচারমন্ত্রী দিলান ইয়েসিলগোজ-জেগেরিয়াস লন্ডনে এই সম্মেলনের আয়োজন করেন। এই সম্মেলনে ইউক্রেনের বিচারমন্ত্রী দেনিস মালিউস্কা ও দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেল আন্দ্রি কোস্তিনও অংশ নিয়েছেন।
সাক্ষী ও এই অপরাধের ভুক্তভোগীদের মানসিক সমর্থন জোগানো এবং আইসিসির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অতিরিক্ত ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ নিয়োগে যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যে বাড়তি প্রায় ৪ লাখ ৮৮ হাজার ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছে। সম্মেলনে অন্যান্য দেশও আর্থিকসহ অন্যান্য সহযোগিতা ঘোষণা করতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিচারমন্ত্রী।
এদিকে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আইসিসির প্রসিকিউটর ও বিচারকদের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে রাশিয়ার তদন্ত কমিটি।