ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কিরিলো বুদানভ বলেছেন, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দ্য ওয়ার জোন সাময়িকীর সাংবাদিক হাওয়ার্ড অল্টম্যানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিরিলো বুদানভ দাবি করেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, প্রিগোশিনকে হত্যা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এফএসবিকে। তারা কি এই কাজে সফল হতে পারবে? ভবিষ্যতে এটা দেখা যাবে।’ ভার্চ্যুয়ালি এই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বুদানভ।
তবে দ্রুত এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হবে না বলে মনে করেন বুদানভ। তিনি বলেন, সঠিকভাবে কাজটি সম্পন্ন কারার জন্য তারা (এফএসবি) সময় নেবে। এর মধ্য দিয়ে একটি বড় প্রশ্ন সামনে এসেছে। এফএসবি কি এই কাজে সফল হবে; তারা কি প্রিগোশিনকে হত্যার সাহস দেখাবে?
প্রিগোশিনের ভাগ্যে কী আছে, সেটা অবশ্য এখনো জানা যাচ্ছে না। কারণ, গত শনিবারের বিদ্রোহের জেরে যেসব অভিযোগ প্রিগোশিন ও তাঁর যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল, সেগুলো তুলে নেওয়া হয়েছে। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় ক্রেমলিন ও প্রিগোশিনের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির পর প্রিগোশিন বেলারুশে গেছেন। তবে তাঁর বাহিনীর সদস্যরা রাশিয়ার নিয়মিত বাহিনীতে যোগ দেবেন, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই প্রস্তাব খারিজ করেছেন প্রিগোশিন।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, নিয়মিত বাহিনীতে যোগ না দেওয়ায় ভাগনার যোদ্ধাদের আর অর্থ দেওয়া হবে না। তাঁরা আর ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেবেন না। ফলে ভাগনার যোদ্ধারা এখন কী করবেন, সেটাও স্পষ্ট নয়।