গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। প্রায় ৮ মাস হতে চলা এ যুদ্ধে ইউক্রেনের জনগণকে নানাভাবে করতে হচ্ছে লড়াই। জনগণের সেই লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দেশটির জনগণকে শাখারভ পুরস্কারে ভূষিত করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। পুরস্কারের ৫০ হাজার ইউরো ইউক্রেনের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্তা মেটাসোলা পুরস্কার ঘোষণা সময় বলেন, ‘ইউক্রেনের জনগণ যা বিশ্বাস করে, তার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও আইনের শাসন রক্ষায় তাঁরা নিয়োজিত। তাঁদের জীবন এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এই পুরস্কারের যোগ্য আর কেউ নেই।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইইউর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে টুইটার করেছেন। টু্ইটে বলেছেন, ‘এ পুরস্কার ইউক্রেন যুদ্ধে প্রতিদিনকার স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের মূল্যবোধের প্রতি সম্মান।’
মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ব্যক্তি ও সংস্থাকে শাখারভ পুরস্কার দেওয়া হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের ভিন্ন মতাবলম্বী আন্দ্রেই শাখারভের নামে চিন্তার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার পুরস্কারটি দেওয়া হচ্ছে ১৯৮৮ সাল থেকে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একচ্ছত্র ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার প্রচেষ্টার জন্য গত বছর কারাগারে বন্দী ক্রেমলিনের সমালোচক আলেক্সি নাভালনিকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। অতীতের শাখারভ বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনকর্মী মালালা ইউসুফজাই প্রমুখ। তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান