শান্তির যেকোনো উদ্যোগ দুর্বল করার চেষ্টা করছে কিয়েভ। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ফোনালাপের পর এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো।
রাশিয়ার হামলার পর প্রথমবারের মতো চিন পিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন জেলেনস্কি।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে চীন বরাবরই নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকেছে। যদিও রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। চীন মস্কোর হামলার ঘটনায় কোনো নিন্দা জানায়নি।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনের সরকার ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা যেকোনো শান্তি উদ্যোগ নস্যাৎ করার ক্ষমতা রাখে।
মস্কো বলেছে, একটি আলোচনার প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য চীনের পক্ষ থেকে এটি একধরনের প্রস্তুতি।
বেইজিং সংঘাত নিরসনের জন্য রাজনৈতিক সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে সংলাপের আহ্বান ও সব দেশের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেছে, তারা সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদী।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ তুলেছে, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মীমাংসার লক্ষ্যে নেওয়া যেকোনো উদ্যোগ কিয়েভ প্রত্যাখ্যান করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, অবাস্তব শর্ত জুড়ে দেওয়ায় ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তারা কোনো সমঝোতায় যাবে না। রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করার পরেই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন সিসিটিভি বলেছে, সি চিন পিং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এতে বলা হয়, সি ফোনালাপে জেলেনস্কিকে বলেছেন, ‘সংলাপ এবং আলাপ-আলোচনাই এই যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসার “একমাত্র উপায়।’”
এর আগে ইউক্রেন সংকটের ‘রাজনৈতিক সমাধানের’ আহ্বান জানিয়ে ফেব্রুয়ারি ১২ দফা ঘোষণা করেছিল বেইজিং। এতে বিবদমান পক্ষগুলোকে শান্তি আলোচনায় বসতে এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়।