পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর কাছে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল শুক্রবার এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বলেন, রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনের প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা প্রয়োজন।
রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা ঠেকাতে এ মুহূর্তে ইউক্রেনের অন্তত সাতটি প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা প্রয়োজন জানিয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন ও ন্যাটো পরস্পরের মিত্র কি না, প্যাট্রিয়ট পাওয়া না–পাওয়াই তা নির্ধারণ করে দেবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘(রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) পুতিনকে অবশ্যই থামাতে হবে। তাহলে আকাশসীমা আবার নিরাপদ হবে। আর এটি পুরোপুরি ন্যাটোর ব্যাপার। তারা ঠিক করবে, আমরা তাদের বন্ধু কি না।’
উল্লেখ্য, প্যাট্রিয়ট হলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা। প্রাথমিকভাবে অনেক উঁচুতে থাকা উড়োজাহাজ প্রতিহত করতে এই ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল। গত শতকের আশির দশকে কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলার বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে এই ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হয়। প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ইরাকের ব্যবহৃত রুশ স্কাড ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। সেটাই ছিল প্রথম কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে এই ব্যবস্থার ব্যবহার।
জেলেনস্কি ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ন্যাটো জোটের দেশগুলো বিপর্যস্ত ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দিতে ইচ্ছুক কি না, তার ওপর বিচার করে প্রকৃত মিত্র কে, তা নির্ধারণ করা হবে।
জেলেনস্কির মতে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে দেওয়া পশ্চিমা সহায়তা অত্যন্ত সীমিত। এ সময় ইসরায়েলকে পশ্চিমা দেশগুলোর অব্যাহত সহায়তার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে ন্যাটোর নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এ বছর আর অপেক্ষা করতে পারছি না।’