রাশিয়ার অনেকটা ভেতরের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে, বিশেষ করে বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানোর অনুমতি কিয়েভকে দেওয়ার জন্য পশ্চিমা মিত্রদের কাছে আবার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের খারকিভে রাশিয়ার প্রাণঘাতী হামলার পর গতকাল রোববার জেলেনস্কি এই আহ্বান জানান।
গতকাল রাতে নিজের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি বলেন, শুধু একটি পদ্ধতিগত সমাধানের মাধ্যমে এই সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর তা হলো, রাশিয়ার সামরিক বিমানঘাঁটিগুলোতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালির কাছ থেকে যথাযথ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন।
এর আগে গতকালই রাশিয়ার একটি গাইডেড বোমা খারকিভের একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানে। উদ্ধারকর্মীরা পরে ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেন। এই হামলায় ৪২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন খারকিভের মেয়র ইগর তেরেখভ।
সম্প্রতি খারকিভে নতুন করে দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।
জেলেনস্কি তাঁর ব্রিফিংয়ে জানান, রাশিয়া গতকাল সুমি ও দোনেৎস্ক অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। তিনি দাবি করেন, রুশ বাহিনী প্রতিদিন অন্তত ১০০টি বিমান হামলা চালাচ্ছেন।
এসব হামলা প্রতিরোধে ইউক্রেন তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে রাশিয়ার আরও ভেতরে দেশটির সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর অনুমতি চাইছে।
যুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে—এমন আশঙ্কায় পশ্চিমারা কিয়েভকে তাদের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে হামলার অনুমতি দেওয়া নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে।