ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে আজ সোমবার সকালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। রাশিয়া এ হামলা করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এক ভিডিও বার্তায় পুতিন বলেছেন, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের সামরিক, যোগাযোগ ও জ্বালানি স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
কিয়েভকে নতুন করে হুমকি দিয়ে পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার ভূখণ্ডে আর কোনো সন্ত্রাসী হামলা হলে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। দখল করে নেওয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে সংযোগকারী কার্চ সেতুতে হামলার পর একে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলেছিলেন পুতিন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। সেখানে কার্চ সেতুতে হামলাসহ যুদ্ধের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন। গত শনিবার ভোরবেলা কার্চ সেতুতে হামলা হয়। রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ ও পুতিন এই হামলার জন্য ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে দায়ী করেছেন।
এদিকে ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যেই রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ হুমকি দিয়েছেন, আরও হামলা আসছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ইউক্রেন রাশিয়ার জন্য সরাসরি ও স্পষ্ট একটি হুমকি। আমাদের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ হবে অবশ্যই ইউক্রেনের রাজনৈতিক শ্রেণিকে ধ্বংস করে দেওয়া।’ এ কথা বলার মধ্য দিয়ে দিমিত্রি মেদভেদেভ মূলত ইউক্রেনে সরকার পরিবর্তনেরই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বিবিসি রাশিয়ার সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ দিমিত্রি মেদভেদেভের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মেদভেদেভের এমন বিবৃতি এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ক্রেমলিনের যদি মনে হয় তাহলে রাশিয়া যুদ্ধকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাবে, যাতে পুরো ইউক্রেনকে রাশিয়ার কবজায় নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়।