জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে শহরে আগামী ১৮ থেকে ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বইমেলা। এটি হবে মেলাটির ৭৫তম আসর। এতে যোগ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল। মেলায় থাকছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নও।
এদিকে বইমেলা উপলক্ষে এই প্রথম জার্মানিতে বাংলা বইমেলা আয়োজন করা হচ্ছে। ফ্রাঙ্কফুর্ট নর্থ ভেস্ট কেন্দ্রের সালবাউ টিটস ফোরামে এই বইমেলার আয়োজন করছেন শহরটিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগামী ২১ অক্টোবর এই মেলার আয়োজন করা হবে।
ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার পরিচালক ইউরগেন বস বলেছেন, এবারের মেলায় অতিথি দেশ হিসেবে থাকছে স্লোভেনিয়া। দেশটির ৭৫ জন লেখক, অনুবাদক ও সাংস্কৃতিক কর্মী মেলা উপলক্ষে ফ্রাঙ্কফুর্টে আসবেন। থাকবেন স্লোভেনিয়া দার্শনিক স্লাভোজ জিজেক এবং কবি ও সাংবাদিক মিলজানা কুন্টাও।
এক সংবাদ সম্মেলনে ইউরগেন বস বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারের আসরেও বইমেলা শান্তি পুরস্কার দেওয়া হবে। এ বছর এই পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক সালমান রুশদি। ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় যোগ দেবেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এরই মধ্যে বইমেলার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। গত বছর বইমেলায় ১ লাখ ৮০ হাজার দর্শনার্থী হাজির হয়েছিলেন। করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে বইমেলায় উপস্থিত ছিলেন ৩ লাখ দর্শনার্থী।
বইমেলা ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, বইমেলায় বাংলাদেশের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে থাকবে। মেলায় মন্ত্রণালয়ের একটি প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি-সংক্রান্ত বাংলা ও ইংরেজি বই প্রদর্শন করা হবে।
জার্মানিতে প্রথম বাংলা বইমেলা
এদিকে ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রবাসী বাংলাদেশিরা গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে জার্মানিতে প্রথম বাংলা বইমেলা আয়োজনের বিষয়টি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২১ অক্টোবর ওই বইমেলা প্রবাসে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে আরও এগিয়ে নেবে। প্রবাসে যেখানেই বাংলাভাষী রয়েছেন, সেখানেই বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা নতুন বাঙালি প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিরা বইমেলায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। জার্মানিতে বাংলা বই সহজে কীভাবে পাওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন। মেলার আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বাঙালি লেখক, কবি ও সাহিত্যিকেরা এই বাংলা বইমেলায় অংশ নেবেন, তাঁদের বই প্রদর্শন করবেন এবং বইয়ের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বক্তব্য দেবেন।