দেশে দেশে যাঁরা ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন, তাঁদের অনেকেরই স্বপ্ন থাকে একসঙ্গে কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করার। কিন্তু সময় কিংবা অর্থের সীমাবদ্ধতার কারণে সব সময় সে সুযোগ মেলে না। কেমন হতো, যদি একটি দেশ ভ্রমণে বের হয়ে অতিরিক্ত কোনো অর্থ খরচ করা ছাড়াই তিনটি দেশ ঘুরে আসা সম্ভব হতো? তা–ও মাত্র ১০ সেকেন্ডে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও ইউরোপের একটি মনোমুগ্ধকর শহরে এমন অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে পারবেন ভ্রমণপ্রেমীরা।
সুইজারল্যান্ডের বাসেল শহর। দেশটির দক্ষিণ–পশ্চিমে রাইন নদীর তীরে এ শহরের অবস্থান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি ঐতিহাসিকভাবেও সমৃদ্ধ এ শহর। সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও জার্মান সীমান্তের সংযোগস্থল বাসেল। ইউরোপের শহরটিতে গেলে ১০ সেকেন্ডে এই তিন দেশের মাটিতে পা রাখার অসাধারণ অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন একজন পর্যটক।
বাসেল শহরের ভৌগোলিক অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপের অনেকগুলো বিস্ময়ের একটি এ শহর। এটির শহরতলি সুইজারল্যান্ড ছাড়িয়ে মিলেছে ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে। এটি এমন একটি এলাকা যেখানে সীমান্ত শুধু মানচিত্রের একটি রেখা। রাইন নদীর স্রোতের মতো উন্মুক্তভাবে নানা সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেছে এখানে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে ‘এমসবাজেটট্রাভেল’ নামের এক ট্রাভেল ইনফ্লুয়েন্সার সম্প্রতি একটি ভিডিও আপলোড করেছে। সেখানে দেখা যায়, একটি সংযোগরেখায় মিলেছে সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও জার্মানি। আর বাসেল শহরের অবস্থান এমন এক জায়গায়, যেখান থেকে তাৎক্ষণিকভাবে তিন দেশের সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার মতো রোমাঞ্চকর সুযোগ রয়েছে।
ভৌগোলিক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি সুইজারল্যান্ডের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোর একটি হিসেবেও পরিচিত বাসেল শহর। এখানকার প্রধান আকর্ষণগুলোর একটি হলো ওল্ড টাউন বা পুরোনো শহর। মধ্যযুগীয় ইতিহাসের চিহ্ন ধারণ করে আছে বাসেল শহরের এ অংশ। এ ছাড়া কোবলস্টোনের রাস্তা এবং ফেব্রুয়ারি বা মার্চে অনুষ্ঠিত বিশেষ কার্নিভ্যালের জন্যও প্রসিদ্ধ এ শহর। এখান থেকে আশপাশের শহর ও দর্শনীয় স্থানগুলোতেও খুব সহজেই ভ্রমণ করা যায়।