হিরোশিমার ছয় শ বছরের ইতিহাস
হারিয়ে গেল ছাই–ভস্মে,
আজকের এই কেয়ামতের দিনে, আজকের সকালে!
নির্দোষ আত্মারা চিরদিনের মতো হারিয়ে গেল,
আজকের সকালে, আজকের এই কেয়ামতের দিনে!
কবিতার এই পঙ্ক্তিগুলো জাপানি কবি তাকাশি তানেমোরির, দেশটির হিরোশিমা শহরে পারমাণবিক বোমা হামলার বীভৎসতা নিয়ে। তাঁর শৈশবটা কেটেছিল এই হিরোশিমাতেই। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট, যুক্তরাষ্ট্র যেদিন শহরটিতে পারমাণবিক বোমা হামলা চালাল, সেদিন মা–বাবার সঙ্গে সেখানে ছিলেন তিনি। দেখেছিলেন বোমার নারকীয় তাণ্ডব। নিজে প্রাণে বাঁচলেও মা–বাবাকে হারিয়েছিলেন। এর কয়েক দিন বাদেই ৯ আগস্ট জাপানের আরেক শহর নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। দুই বোমা কেড়ে নেয় লাখো মানুষের প্রাণ।
পারমাণবিক হামলা নিয়ে চলমান এই উত্তেজনাকে ১৯৬২ সালের কিউবার ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। গত ৬ অক্টোবর ডেমোক্রেটিক পার্টির এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকে আমরা এ ধরনের পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কার মুখোমুখি হইনি।’
সেই শুরু, সেই শেষ। এরপর আর কখনো পারমাণবিক হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে ‘দানব’ পারমাণবিক বোমা হামলার আতঙ্ক কিন্তু মানুষের পিছু ছাড়েনি। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মতো প্রভাবশালী দেশগুলোর ছড়ির ইশারার বারবার এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, যেন এই বুঝি পারমাণবিক যুদ্ধ বেধে গেল। যেমনটা হয়েছিল ১৯৬২ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের কোলঘেঁষা দেশ কিউবায় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনকে কেন্দ্র করে। এ ঘটনায় মুখোমুখি অবস্থানে যায় মস্কো ও ওয়াশিংটন। শেষ পর্যন্ত যদিও পারমাণবিক যুদ্ধ বাধেনি। তবে আতঙ্কে বেশ কিছুদিন নির্ঘুম রাত কেটেছিল অনেকের।
ওই ঘটনার পর ৬০ বছর গড়িয়েছে। ২০২২ সালে এসে আবারও পারমাণবিক হামলার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এবার আতঙ্কের সূত্রপাত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি হুমকি ঘিরে। গত সেপ্টেম্বরে ইউক্রেন যুদ্ধের সাত মাসের মাথায় এসে তিনি বলেছিলেন, রাশিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় প্রয়োজনে ‘সব ধরনের’ অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত আছেন তিনি। সব ধরনের অস্ত্র বলতে তিনি পারমাণবিক অস্ত্রও বুঝিয়েছিলেন। এরপর পুতিনঘনিষ্ঠরা কখনো সরাসরি আবার কখনো আকার–ইঙ্গিতে ইউক্রেনে পারমাণবিক হামলার সম্ভাবনার কথা পেড়েছেন।
পারমাণবিক হামলা নিয়ে চলমান এই উত্তেজনাকে ১৯৬২ সালের কিউবার ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। গত ৬ অক্টোবর ডেমোক্রেটিক পার্টির এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকে আমরা এ ধরনের পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কার মুখোমুখি হইনি।’
১৯৫৯ সালে কিউবায় সমাজতান্ত্রিক নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ক্ষমতায় বসেন। এরপর সমমনা সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। এ নিয়ে মাথাব্যথা শুরু হয় সমাজতন্ত্রবিরোধী যুক্তরাষ্ট্র সরকারের। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড থেকে মাত্র ৯০ মাইল দূরে অবস্থিত কিউবার এ অবস্থান মেনে নিতে পারেনি তারা। কাস্ত্রো সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে ওয়াশিংটনে শুরু হয় নানামুখী তৎপরতা। একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র কিউবায় আক্রমণের উদ্যোগ নিলে দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্য চায়। ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে মস্কো কিউবায় গোপনে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকেন্দ্র স্থাপন করে।
১৯৬২ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গোয়েন্দা প্রতিবেদন আসতে থাকে যে সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে। এ–সংক্রান্ত তথ্য–প্রমাণও তাদের হাতে আসে। পরে ১৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জে এফ কেনেডির সামনে এসব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। ২২ অক্টোবর এক ভাষণে কেনেডি সোভিয়েত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। একই সঙ্গে বিশ্বের নানা প্রান্তে মোতায়েন করা মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রতি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় মাত্রার সামরিক সতর্কতা জারি করেন।
সবচেয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ২৬ অক্টোবর। সেদিন সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ সীমা অতিক্রম করতে গেলে মার্কিন নৌবাহিনী ‘ডেপথ চার্জ’ নিক্ষেপ করে। মার্কিন নৌবাহিনী জানত না, ওই সাবমেরিনে পারমাণবিক টর্পেডো রয়েছে। সাবমেরিনটি পারমাণবিক টর্পেডো নিক্ষেপের জন্য পানির উপরিভাগে উঠে আসে। তবে সেটিতে থাকা তিনজন কমান্ডারের একজন টর্পেডো নিক্ষেপের বিষয়ে অসম্মতি জানালে আরেকটি পারমাণবিক যুদ্ধ থেকে রক্ষা পায় বিশ্ব।
একই দিনে কেনেডি জানতে পারেন, কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকেন্দ্রে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি কিউবায় সামরিক হামলার অনুমোদন দেওয়ার কথা বিবেচনা করেন। ঠিক তখন সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী নিকিতা ক্রুশ্চেভ কিউবা আক্রমণ না করার মার্কিন প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকেন্দ্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। এর পরদিন ক্রুশ্চেভ তাঁর প্রস্তাবের সঙ্গে তুরস্কে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকেন্দ্র ভেঙে ফেলার শর্ত যোগ করেন।
প্রশান্তি দেওয়ার মতো খবর হলো ৭ ডিসেম্বর পুতিনের একটি বক্তব্য। তিনি বলেছিলেন, রাশিয়া আগবাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না। রাশিয়ার ওপর হামলা চালানো হলেই কেবল এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত সরকারের প্রস্তাব মেনে নিলে ২৮ অক্টোবর বিকেল থেকে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ভেঙে ফেলা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ক থেকে তাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সরিয়ে নেয়। মূলত কেনেডি ও ক্রুশ্চেভের কূটনৈতিক দক্ষতার কারণে কিউবার মিসাইল সংকটের সমাধান হয় এবং পৃথিবী একটি পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে আসে।
রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনের সঙ্গে। তবে এই যুদ্ধটা গোটা পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে বলে মনে করছেন পুতিন। তিনি নিজ মুখেই স্বীকার করেছেন, পশ্চিমারা রাশিয়াকে ধ্বংস করে দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদ দখল করতে চায়। এ কারণেই হুমকি দিয়ে রেখেছেন, রাশিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা হুমকিতে পড়লে তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত। রুশ প্রেসিডেন্টের এই হুমকিকে অনেক বিশ্লেষক আমলে না নিলেও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।
গুরুত্ব দেওয়ার কারণও আছে। ইউক্রেনের চার অঞ্চল—খেরসন, জাপোরিঝঝিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে গণভোটের মাধ্যমে রুশ ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। পশ্চিমাদের কাছে স্বীকৃতি না পেলেও মস্কোর হিসাবে এই চার অঞ্চল এখন রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের অংশ। আর দেশটির পারমাণবিক মূলনীতিতে বলা আছে, ‘রাশিয়ার ভূখণ্ডে প্রথাগত কোনো অস্ত্র দিয়ে হামলার ফলে যদি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে’ তখন পাল্টা জবাবে পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে আঘাত হানা যাবে। তাই বলা যায় যে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা নতুন চার অঞ্চলে ইউক্রেনের যেকোনো হামলাকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া।
তবে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে হলে রাশিয়াকে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। এখানে একটা কিন্তু আছে। জাতিসংঘের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড নেশনস ইনস্টিটিউট ফর ডিজআর্মামেন্ট রিসার্চের (ইউএনআইডিআর) জ্যেষ্ঠ গবেষক পাভের পোডভিগ বলছিলেন, রাশিয়া নাকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য শুধু পারমাণবিক অস্ত্রবাহী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রস্তুত রেখেছে। স্বল্পপাল্লার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রগুলো তাৎক্ষণিক হামলার জন্য প্রস্তুত নেই। এই অস্ত্রগুলো সাজিয়ে নিতে তাদের অনেকটা সময় লেগে যেতে পারে।
এদিকে গত কয়েক মাসে ইউক্রেন যুদ্ধে বড় কয়েকটি ধাক্কা খেয়েছে রুশ বাহিনী। নিজেদের দখলে থাকা খারকিভ অঞ্চল হাতছাড়া হয় তাদের। পরে ইউক্রেনীয়দের তীব্র হামলার মুখে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ খেরসন শহরও ছেড়ে যেতে বাধ্য হয় তারা। এসবের জেরে মনে হচ্ছিল বেপরোয়া হয়ে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন পুতিন। তবে বর্তমানে যুদ্ধে রাশিয়া তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা প্রায় ধসিয়ে দিয়েছে তারা। এটি ইউক্রেনীয়দের মনোবলের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছে। গেল কয়েক দিনে বড় কোনো ধাক্কাও আসেনি রাশিয়ার ওপর। তাই আপাতত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের দিকে পুতিন হাঁটবেন না বলেই মনে হচ্ছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান কার্নেগি এনডোমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের পারমাণবিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ জেমস অ্যাকটনের ভাষ্যও একই।
সবকিছুর মধ্যে প্রশান্তি দেওয়ার মতো খবর হলো ৭ ডিসেম্বর পুতিনের একটি বক্তব্য। তিনি বলেছিলেন, রাশিয়া আগবাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না। রাশিয়ার ওপর হামলা চালানো হলেই কেবল এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। আর মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নসও বলেছেন, পুতিন যে পারমাণবিক হামলা করতে যাচ্ছেন, তার বাস্তব কোনো প্রমাণ আপাতত মার্কিন গোয়েন্দাদের হাতে নেই।
যেকোনো সময় হামলা চালানোর জন্য ১ হাজার ৪৫৮টি পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন রেখেছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র মোতায়েন রেখেছে ১ হাজার ৩৮৯টি। এই অস্ত্রগুলো যুক্ত রয়েছে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম), সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমারু বিমানে।
এ তো গেল ধারণার কথা। এবার দেখে নেওয়া যাক রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র—পারমাণবিক শক্তিতে কে এগিয়ে। সংখ্যার দিক দিয়ে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের দেওয়া হিসাব বলছে, মস্কোর হাতে বর্তমানে আনুমানিক ৫ হাজার ৯৭৭টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্ত্র রয়েছে ৫ হাজার ৪২৮টি।
এখানে যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তাতে মজুত থাকা পারমাণবিক অস্ত্রের পাশাপাশি যেগুলোর মেয়াদ ফুরিয়েছে, সেগুলোও যুক্ত করা হয়েছে। তবে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মজুত করা পারমাণবিক অস্ত্র এত বেশি যে সেগুলো দিয়ে পুরো বিশ্ব কয়েকবার ধ্বংস করা যাবে। দেশ দুটির হাতে বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের ৯০ শতাংশ রয়েছে।
যেকোনো সময় হামলা চালানোর জন্য ১ হাজার ৪৫৮টি পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন রেখেছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র মোতায়েন রেখেছে ১ হাজার ৩৮৯টি। এই অস্ত্রগুলো যুক্ত রয়েছে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম), সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমারু বিমানে।
এদিকে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের দিক দিয়ে বিবেচনা করলেও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বহু এগিয়ে রাশিয়া। দেশটির হাতে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ গুণ এই অস্ত্র রয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের ২০০টি কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের প্রায় অর্ধেকই মোতায়েন রয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন ঘাঁটিতে।
তবে পারমাণবিক শক্তিতে যার পাল্লা ভারী হোক না কেন, এই অস্ত্র যেন কখনোই ব্যবহার না হয়, এমন আশা সবারই। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ আর রক্তঝরা পথে না এগিয়ে কূটনৈতিক সমঝোতার মধ্য দিয়ে শেষ হবে—এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও। তিনি বিশ্বাস করেন, ২০২৩ সালেই এই যুদ্ধ শেষ হবে, ফুরাবে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, আল–জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট