রাশিয়া–ইউক্রেন দুপক্ষেরই দাবি, খেরসন শহর তাদের

রুশ নিয়ন্ত্রিত খেরসনে ইউক্রেনীয়দের বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ খেরসন শহর রাশিয়ার সেনাদের হাত থেকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বলেছেন, শহরটি এখন তাঁদের। তবে সেনা প্রত্যাহার করলেও একই কথা মস্কোরও। তাদের ভাষ্যমতে, খেরসন শহর থেকে আপাতত সেনা প্রত্যাহার করা হলেও, শহরটি রাশিয়ার অংশ হিসেবেই থাকবে।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে গতকাল শনিবার একটি ভিডিও পোস্ট করেন জেলেনস্কি। সেখানে তিনি লেখেন, স্পেশাল ইউনিটের সদস্যরা ইতিমধ্যে শহরে অবস্থান নিয়েছেন। ভিডিওতে জনসাধারণের সঙ্গে সেনাদেরও দেখা যায়। এদিকে ক্রেমলিন বলছে, পশ্চাদপসরণ সত্ত্বেও ‘রাশিয়ার অংশ’ হিসেবেই খেরসনের মর্যাদা অপরিবর্তিত থাকবে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, অবস্থানের কোনোই পরিবর্তন হবে না। কারণ, এটি ইতিমধ্যেই আইনগতভাবে রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত।

গত বুধবার খেরসন শহরসহ নিপ্রো নদীর পশ্চিম পাড়ে নিজেদের দখলে থাকা এলাকাগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় রাশিয়া। পরে বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, খেরসনে মোতায়েন রাশিয়ার সব সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম নিপ্রো নদীর পূর্ব পাড়ে সরিয়ে আনা হয়েছে।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ ঘোষণা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর মধ্যে খেরসন কৌশলগতভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ শহর। খেরসন শহর ছাড়ার মধ্য দিয়ে গত ৯ মাসের যুদ্ধে দখলে থাকা একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী শহর থেকেও পিছু হটতে হলো রাশিয়াকে। তবে এটা পুতিনের জন্য অপমানজনক হবে না বলে মনে করছে ক্রেমলিন।

এদিকে খেরসন শহর পুনর্দখলকে ইউক্রেনের ‘অসামান্য বিজয়’ হিসেবে প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার কম্বোডিয়া যাওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘এটি একটি বিশাল মুহূর্ত। এটি ইউক্রেনীয়দের অবিশ্বাস্য দৃঢ়তা ও দক্ষতার ফল, যার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের মিত্রদের নিরলস এবং ঐক্যবদ্ধ সমর্থন ছিল।’

কম্বোডিয়ার আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে বৈঠকে কুবেলা বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, সবাই চায় এই যুদ্ধ যত দ্রুত সম্ভব শেষ হয়। আমরা অবশ্যই যে কারও চেয়ে এটা বেশি চাই।’ এ সময় সমর্থন অব্যাহত রাখতে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।