ইতালির মিলানে ডুয়োমো ক্যাথেড্রাল
ইতালির মিলানে ডুয়োমো ক্যাথেড্রাল

ম্যানচেস্টার থেকে লন্ডনের অর্ধেক খরচে ইতালি ভ্রমণ

যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ম্যাচেস্টারের দূরত্ব প্রায় ২০০ মাইল। অন্যদিকে ম্যানচেস্টার থেকে ইতালির মিলানের দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ২১ মাইল। চিন্তা করুন, তারপরও ম্যানচেস্টার থেকে মিলান ভ্রমণে অর্থব্যয় যদি কম হয়, সেটা কেমন হয়। তা–ও আবার দিনে দিনে যদি ঘুরে আসা যায়।

ভ্রমণপিপাসুরা দেশের বাইরে এমন কম খরচে ঘোরার সুযোগ পেলে নিশ্চয় হাতছাড়া করবেন না। সপ্তাহিক ছুটির দিনে নিশ্চিতভাবেই দেশের বাইরে ভিন্ন পরিবেশে ঘুরে আসা তাঁর কাছে কাঙ্ক্ষিত বিষয় হয়ে উঠবে।

যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারের এক নারীর ক্ষেত্রে এমনই ঘটেছে। নিজ দেশের রাজধানী লন্ডন যেতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়, তার অর্ধেক খরচ করে তিনি ইতালির মিলান শহর ঘুরে এসেছেন।

ডাগমারা কেজিয়ারিসকা নামের ওই নারী বলেন, তিনি এক দিনের জন্য উড়োজাহাজে করে ম্যানচেস্টার থেকে ইতালির মিলানে গেছেন। আসা–যাওয়া এবং বেড়ানো—সব মিলিয়ে সময় লেগেছে ১৪ ঘণ্টা। লন্ডন ভ্রমণের অর্ধেক খরচে তিনি ইতালির মিলান ঘুরে এসেছেন। গণমাধ্যম মেট্রো ইউক–এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ডাগমারা বলেন, ট্রেনে করে নিজ শহর ম্যানচেস্টার থেকে রাজধানী লন্ডনে যাওয়া–আসায় তাঁকে ১০০ পাউন্ড (প্রায় ১৫ হাজার ১৩৫ টাকা) খরচ করতে হতো। কিন্তু ম্যানচেস্টার থেকে ইতালির মিলানে আসা–যাওয়ায় তাঁর ব্যয় হয়েছে মাত্র ৫০ পাউন্ড (৭ হাজার ৫৭০ টাকা)।

৩০ বছর বয়সী ওই নারী সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে মিলানে পৌঁছান। সকালের নাশতা সেরে তিনি ডুয়োমো ক্যাথেড্রালসহ দর্শনীয় অনেক জায়গা ঘোরাঘুরি করেন। ঘোরাঘুরি শেষে তিনি বাড়ি ফিরতে দিনের শেষে আবার বিমানবন্দরে চলে আসেন।

ডাগমারা বলেন, ‘মিলান ভ্রমণ ফ্লাইটে ৫০ পাউন্ডসহ স্থানীয় পরিবহন, খাবার, পানীয়সহ আমার ব্যয় হয়েছে ২০০ পাউন্ডেরও কম (প্রায় ৩০ হাজার ২০০ টাকা)। দেশের বাইরের আবহাওয়াও ম্যানচেস্টারের চেয়ে ভালো। একদিনের জন্য হলেও দেশের বাইরে ভ্রমণ আমার মধ্যে ছুটির দিনের আমেজ এনে দেয়।’

ডাগমারার জন্য অবশ্য এটি নতুন কিছু নয়। এর আগে বার্ষিক ছুটি কাজে লাগিয়ে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরেছেন।