প্যাডিংটন বিয়ার
প্যাডিংটন বিয়ার

বিচিত্র

যুক্তরাজ্যের পাসপোর্ট পেল ভালুক

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগ একটি ভালুককে পাসপোর্ট দিয়েছে। ভালুকটির নাম প্যাডিংটন। সেটির গাভর্তি গাঢ় বাদামি রঙের লোম, মাথায় বেশির ভাগ সময় থাকে লাল রঙের একটি হ্যাট (টুপি)। সেটি ঘুরতে ঘুরতে চলে এসেছে পেরু থেকে লন্ডনে।

শিশুতোষ গল্পের জনপ্রিয় চরিত্র এই ‘প্যাডিংটন বিয়ার’। চরিত্রটি সৃষ্টি করেছেন ইংরেজ লেখক টমাস মাইকেল বন্ড। প্যাডিংটনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সিনেমা প্যাডিংটন ইন পেরু। শিগগিরই সিনেমাটি মুক্তি পাবে। যাঁরা সিনেমাটি তৈরি করেছেন, তাঁদের অনুরোধে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্যাডিংটনের জন্য একটি পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল, সিনেমা তৈরির সময় সেই পাসপাোর্ট ব্যবহার করা হবে।

আমরা লিখিতভাবে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি রেপ্লিকা (পাসপোর্ট) পেতে পারি কি না, তা জানতে চেয়েছিলাম এবং তাঁরা প্যাডিংটনের নামে একটি আনুষ্ঠানিক পাসপোর্ট বানিয়ে দেয়। এমন একটিই আছে
সহপ্রযোজক রুবি সিলভা

ভালুকের পাসপোর্টের জন্য সহপ্রযোজক রুবি সিলভা ও তাঁর দল যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরে যোগাযোগ করে। তারা প্যাডিংটনের জন্য একটি ‘রেপ্লিকা’ পাসপোর্ট করে দেওয়ার অনুরোধ করে। সিলভা বলেন, ‘আমরা লিখিতভাবে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি রেপ্লিকা (পাসপোর্ট) পেতে পারি কি না, তা জানতে চেয়েছিলাম এবং তাঁরা প্যাডিংটনের নামে একটি আনুষ্ঠানিক পাসপোর্ট বানিয়ে দেয়। এমন একটিই আছে।’

পাসপোর্টে প্যাডিংটনের ছবি আছে। এতে তার ‘জন্মতারিখ ২৫ জুন ও জন্মস্থান পেরু’ উল্লেখ আছে। ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি প্যাডিংটন ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিনেমা প্যাডিংটন ইন পেরু মুক্তি পাওয়ার কথা। এই সিনেমায় ছোট্ট প্যাডিংটন তার আন্ট লুসির সঙ্গে দেখা করতে পেরু ভ্রমণে যাবে।

মাইকেল বন্ড ১৯৫৮ সালে তাঁর লেখা বই

আ বিয়ার কোল্ড প্যাডিংটন–এ প্যাডিংটন চরিত্রটি তৈরি করেন। সেখানে প্যাডিংটন একটি ছোট্ট এতিম ভালুক। গল্পে প্যাডিংটন পেরু থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী অভিমুখে যাত্রা করে। প্যাডিংটনকে নিয়ে প্রথম সিনেমা মুক্তি পায় ২০১৪ সালে প্যাডিংটন নামে। ২০১৭ সালে মুক্তি পায় দ্বিতীয় সিনেমা প্যাডিংটন ২। পরিচালনায় ছিলেন ডুগাল উইলসন।

নতুন সিনেমা প্যাডিংটন ইন পেরু–তে প্যাডিংটন চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন বেন হুইশাও। তিনি মজা করে বলেন, সিনেমা তৈরিতে প্যাডিংটনের পাসপোর্টটি অবশ্য কোনো কাজে লাগেনি। পুরো সিনেমাটি সেন্ট্রাল লন্ডনের একটি স্টুডিওতে তৈরি করা হয়েছে।