রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ আজ শুক্রবার শুরু হয়েছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনকালকে এই নির্বাচন আরও ছয় বছর দীর্ঘায়িত করতে যাচ্ছে।
রাশিয়ায় এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে একটি ‘প্রহসন’ হিসেবে অভিহিত করেছে ইউক্রেন। ভোট শুরুর আগে তারা রাশিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে।
১৫ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। ভোট চলার মধ্যে রাশিয়ায় পুতিনবিরোধী বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছে বিরোধীরা।
তবে রুশ কর্মকর্তারা ভোটের সময় যেকোনো বিক্ষোভের বিরুদ্ধে লোকজনকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
ক্রেমলিন বলেছে, এই ভোট প্রমাণ করবে, ইউক্রেনে পুতিনের আক্রমণের সিদ্ধান্তের পেছনে পুরো দেশের সমর্থন রয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই অভিযানের মাধ্যমে রাশিয়ার দখলে নেওয়া ইউক্রেনীয় অঞ্চলগুলোতেও ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
ভোট শুরুর আগে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন রুশ অঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
অবশ্য রাশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড বলেছে, তারা দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্কে ইউক্রেনপন্থী মিলিশিয়াদের আক্রমণ মোকাবিলা করছে।
ভোট শুরুর আগে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনারা বুঝতে পারছেন যে আমাদের দেশ কী কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমরা প্রায় সব ক্ষেত্রেই কী জটিল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি।’
পুতিন বলেন, মর্যাদার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখতে, সফলভাবে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে, রুশদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্যমতে, রাশিয়ার এই নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ২৩ লাখ। প্রবাসী ১৯ লাখ ভোটার নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫০টি ব্যালট ছাপা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আগাম ভোট দিয়েছেন ২০ লাখ ভোটার।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল আটটায় রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় কামচাটকা উপদ্বীপে ভোট আরম্ভের মধ্য দিয়ে নির্বাচন শুরু হয়। স্থানীয় সময় আগামী রোববার রাত আটটায় পশ্চিমাঞ্চলীয় কালিনিনগ্রাদে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে নির্বাচন শেষ হবে।