ইউক্রেনজুড়ে বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। আজ বৃহস্পতিবারের এ হামলাকে ‘বিবেকহীন বর্বরতা’ বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। টুইটে তিনি বলেন, ‘নববর্ষের আগে শান্তিপূর্ণ ইউক্রেনীয় শহরগুলোয় একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এটাকে বিবেকহীন বর্বরতা বলা যায়।’ খবর রয়টার্স ও এএফপির।
স্থানীয় সময় আজ সকাল থেকে রাজধানী কিয়েভ, উত্তরাঞ্চলের খারকিভ, দক্ষিণাঞ্চলের ওডেসাসহ দেশটির বড় বড় শহরে একের পর এক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ। জনগণকে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে নির্দেশ দেয় ইউক্রেন সরকার।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক জানান, জনবহুল ও বেসামরিক অবকাঠামোতে ১২০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। অন্যদিকে কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো বলেন, বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ বছরের এক কিশোরী আছে।
হামলায় রুশ বাহিনী আকাশ ও সাগর থেকে নিক্ষেপ করা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ‘কামিকাজ’ ড্রোন ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। হামলার পর কিয়েভের আকাশে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। টানা পাঁচ ঘণ্টা কিয়েভে বেজেছে নিরাপত্তা সাইরেন। দেশটির সেনাবাহিনী ৫৪টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার দাবি করেছে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওলেস্কি রোমোভ টেলিগ্রাম বার্তায় জানান, দেশটির প্রায় সব অঞ্চলে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। মূলত বেসামরিক স্থাপনা এবং জরুরি ও জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে ইউক্রেন সরকারের তথ্য, গতকালের রুশ হামলায় খেরসনে একজন ও ঝাপোরিঝিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১২ জনের বেশি। এ হামলার পর কিয়েভের ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন রয়েছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আগামীকাল শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলবেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক নানা ইস্যু এবং ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে কথা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। দুই রাষ্ট্রনেতার এবারের আলাপের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও পেসকভ বলেন, এর মধ্য দিয়ে রাশিয়া ও চীন আরও কাছাকাছি আসবে।