ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে বেইজিংয়ের দেওয়া শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে এ বৈঠক করতে চান তিনি। গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর প্রথম বর্ষপূর্তিতে দেওয়া বক্তব্যে জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে ১২ দফা প্রস্তাব দিয়েছে চীন। সেখানে বিবদমান পক্ষগুলোকে শান্তি আলোচনায় বসতে এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে এ প্রস্তাবে ইউক্রেন থেকে অবশ্যই রুশ সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। একতরফা নিষেধাজ্ঞারও সমালোচনা করা হয়েছে। একে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের সমালোচনা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া দীর্ঘ বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, এ প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, চীন শান্তির সন্ধানে আছে। তিনি আরও বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমি বিশ্বাস করতে চাই যে চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করবে না।’
তবে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠকের আহ্বানের ব্যাপারে চীনা কর্তৃপক্ষ এখনো প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনের শান্তি প্রস্তাবের প্রশংসা করেছে।
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করার কথা ভাবছে বেইজিং। তবে বেইজিং তা অস্বীকার করেছে। গতকাল শুক্রবার আমেরিকান সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে আরও বলা হয়, চীন সরকার মস্কোর জন্য ড্রোন ও গোলাবারুদ পাঠানোর কথা ভাবছে।
চীনের পরিকল্পনার ব্যাপারে জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার এবিসি নিউজকে বলেন, ‘পুতিন যখন একে সাধুবাদ জানাচ্ছেন, তখন তা আর কীভাবে ভালো হতে পারে? এ পরিকল্পনার মধ্যে আমি এমন কিছু দেখছি না, যার মধ্য দিয়ে রাশিয়া ছাড়া আর অন্য কারও লাভ হবে।’
ইউক্রেনে রুশ অভিযানের নিন্দা জানিয়ে সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উত্থাপিত একটি প্রস্তাবে ভোটাভুটি চলার সময় আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার অনেক দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলেনস্কি বলেন, তাঁর দেশ আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি একে বড় ভুল বলে মনে করছেন।