যুক্তরাজ্যের ৪ জুলাইয়ের জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আপসানা বেগমের কাছে শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে তাঁর সাবেক স্বামী এহতেশামুল হকের। বাংলাদেশি অধ্যুষিত পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসনের লেবার মনোনীত প্রার্থী আপসানা বেগম ১৮ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী তাঁর সাবেক স্বামী এহতেশামুল হক ৪ হাজার ৫৫৪ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। দ্বিতীয় হয়েছেন গ্রিন পার্টির নাথালি বেইনফিট। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৫ ভোট আর ৪ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির ফ্রেডি ডউনিং।
আপসানা-এহতেশামের বিয়ে ও বিয়ে–পরবর্তী নানা ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ডিভোর্সের নয় বছর পর সাবেক স্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্যের বিপরীতে লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত আসন পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস থেকে এহতেশামের প্রার্থিতার বিষয়টি কমিউনিটিতে আলোচনা তৈরি করেছিল। এহতেশামুল হক টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক কাউন্সিলর মনির উদ্দীন আহমেদের মেয়ে আপসানা বেগম ও সাবেক কাউন্সিলর এহতেশামুল হকের বিয়ে হয়। দুজনের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায়। তাঁদের বিচ্ছেদ হয় ২০১৫ সালে। এরপর ২০১৯ সালে আপসানা প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি পারিবারিক সহিংসতা নির্যাতনবিষয়ক ব্রিটিশ সংসদের সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটির চেয়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ওয়েস্ট মিনস্টার পার্লামেন্টে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আপসানা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আহ্বান জানান, যাতে পারিবারিক নির্যাতন থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের আর হয়রানির শিকার না হতে হয়। তিনি এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন, যেখানকার পরিবেশ অস্থির ও অপমানজনক ছিল বলে তাঁর সহকর্মী সংসদ সদস্যদের জানান।
২০২০ সালে আপসানার বিরুদ্ধে তাঁর সাবেক স্বামীর পরিবারের একজন সদস্য আবাসন জালিয়াতির অভিযোগ আনেন। ২০২১ সালের ৩০ জুলাই আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।