শীত যত বাড়ছে, ইউক্রেনে হামলা তত জোরদার করছে রাশিয়া। গতকাল সোমবারও দেশটির রাজধানী কিয়েভজুড়ে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়।
ইউক্রেনে এখন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে বা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকছে। আর এ সময় বৈদ্যুতিক স্থাপনা, হিটিং–ব্যবস্থা ও পানি সরবরাহব্যবস্থা লক্ষ্য করে রুশ বাহিনী হামলা চালাচ্ছে। গতকালও কিয়েভে যেসব হামলা চালানো হয়েছে, তার অন্যতম লক্ষ্য ছিল হিটিং–ব্যবস্থা। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী গতকাল জানিয়েছে, তারা ৩০টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এসব ইরানের তৈরি ড্রোন। গত ছয় দিনের মধ্যে কিয়েভ লক্ষ্য করে এটি ছিল তৃতীয় দফা হামলা।
এ হামলার পর কিয়েভের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রুশ বাহিনীর হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া এ অঞ্চলের ৯টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে সাধারণ জ্বালানি ব্যবহৃত হওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় হামলা চালিয়েছিল রুশ বাহিনী। তবে এবার রুশ বাহিনী আরও আগ্রাসী হয়েছে। ইউক্রেনের আণবিক শক্তি সংস্থা অভিযোগ করেছে, দেশটির মিকোলাইভ অঞ্চলে সাউথ ইউক্রেন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে হামলার জন্য ড্রোন পাঠিয়েছিল রুশ বাহিনী। একে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছে তারা।
এদিকে আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্য গতকাল ইউক্রেনকে নতুন করে আরও ৩০ কোটি ৪০ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।
বেলারুশে পুতিন
ইউক্রেন হামলা জোরদারের পর গতকাল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশ সফর করেছেন। মূলত বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠক করতে সেখানে গিয়েছেন তিনি। এ সফরে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীও তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।
২০১৯ সালের পর এই প্রথম পুতিন ও লুকাশেঙ্কোর সাক্ষাৎ হচ্ছে। তাঁদের এ সাক্ষাৎ ঘিরে নতুন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এরপর ইউক্রেনে হামলায় রুশ বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিতে পারে বেলারুশ। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে শুক্রবার রুশ বাহিনীর দপ্তর পরিদর্শন করেন পুতিন। এরপর হামলার মাত্রা বাড়ে। একই ঘটনা ঘটতে পারে বেলারুশ সফরের পর। যদিও এ আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন দিমিত্রি পেসকভ।