তুরস্কে নারী হত্যার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার বিক্ষোভ করেছেন দেশটির শতাধিক নারী। সর্বশেষ ইস্তাম্বুলে দুই নারীকে হত্যার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ হচ্ছে।
এএফপির একজন প্রতিনিধি বলেছেন, ইস্তাম্বুলে জড়ো হওয়া শতাধিক বিক্ষোভকারী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং তাঁর ইসলামপন্থী দল একেপি পার্টির নিন্দা করে স্লোগান দেন।
এই বিক্ষোভ আয়োজকদের একজন গুনেস ফাদিমে আকসাহিন। তিনি বিক্ষোভকারীদের বলেন, ‘আপনি (এরদোয়ান) এমন সরকার, যারা তরুণীদের খুন হতে দেয়।’
এদিন গুলিজার সেজার নামের একজন নারী সমাবেশে বক্তব্য দেন। গুলিজারের মেয়ে খুন হয়েছেন। গত জুনে তাঁর মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহটি কার্পেটে মুড়িয়ে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
ইস্তাম্বুল ছাড়াও রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের আরেক বড় নগর ইজমিরে বিক্ষোভ হয়েছে। নারী অধিকারবিষয়ক একটি সংগঠন বিক্ষোভের ছবি পোস্ট করেছে।
তুরস্কজুড়ে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন এ ধরনের বিক্ষোভ হচ্ছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে।
এক রাতে দুই তরুণীকে হত্যার অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন।
ইস্তাম্বুলের কর্মকর্তারা জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এবং খুন হওয়া দুই তরুণী—সবার বয়স ১৯ বছর। দুই নারীকে ৩০ মিনিটের ব্যবধানে হত্যা করা হয় বলেও জানান তাঁরা।
নিহত দুজন হামলাকারী ব্যক্তিকে চিনতেন কি না, তা জানা যায়নি।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান (খুনের ঘটনার জন্য) প্রাথমিকভাবে মদ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দায়ী করেছিলেন। গত বুধবার তিনি বিচারব্যবস্থা আরও দৃঢ় করার এবং অপরাধ দমনে আরও কঠোর হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।নারী হত্যার প্রবণতা মোকাবিলা করতে তুরস্ককে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
একটি নজরদারি দল বলেছে, এ বছর তুরস্কে ২৯৯ নারী খুন হয়েছেন। সাড়ে ৮ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে আরও ১৬০টির বেশি ‘সন্দেহজনক’ হত্যাকাণ্ড আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানো হয়েছে।