দ্বীপটির আয়তন ৬ একর। আছে একটি নিজস্ব সৈকত, একটি দুর্গ, কয়েকটি কামান আর বাসিন্দা ১৫ ভূত। ইংল্যান্ডের ডেভন উপকূলে অবস্থিত ওই দ্বীপ বিক্রি হবে।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমের বন্দর শহর প্লাইমাউথ থেকে দ্বীপটির দূরত্ব আধা মাইলের কম। শত শত বছর ধরে দ্বীপটি সামরিক প্রতিরক্ষা কাজে ব্যবহার হয়েছে। সেই ১৮ শতকের কয়েকটি কামান এখনো সেখানে রাখা আছে। দ্বীপটির নাম ড্রেকস আইল্যান্ড।
নৌকায় ড্রেকস আইল্যান্ডে যেতে ১০ মিনিটের কম সময় লাগে। সেখানে বিলাসবহুল একটি হোটেল নির্মাণের অনুমতি নেওয়ার পরিকল্পনাও চলছে বলে জানিয়েছেন বর্তমান মালিক স্থানীয় ব্যবসায়ী মরগান ফিলিপস।
মরগ্যান বলেন, এই দ্বীপের দুই হাজার বছরের বেশি সময়ের ইতিহাস আছে। নথি অনুযায়ী, এখানে প্রথম ভবনটি তৈরি হয় ১১৩৫ সালে।
২০১৯ সালে ৭৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলারে (প্রায় ৯০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা) দ্বীপটি কেনেন ফিলিপস। সেখানে তিনি ৪৩ শয্যার একটি বিলাসবহুল হোটেল নির্মাণের অনুমতি পেতে চেষ্টা করছিলেন। তিনি পর্যটকদের ভ্রমণে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেন।
মরগ্যান বলেন, ‘প্লাইমাউথকে পর্যটকদের ভ্রমণের গন্তব্যে পরিণত করার চেষ্টা চলছে...এটি সে অবস্থায় পৌঁছাচ্ছে। যদিও এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। আমাদের আসলে এখন যা দরকার, তা হলো দ্বীপটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এমন কাউকে দরকার, যার কাছে সেই বাজেট আছে এবং তিনি সেটা করতে সক্ষম।’
ইংরেজ অভিযাত্রী স্যার ফ্রান্সিস ড্রেকের নামানুসারে এই দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছে। তিনি ১৫৭৭ সালে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করতে যাত্রা শুরু করেছিলেন।
বিক্রির জন্য দ্বীপটির কোনো মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। তবে সেটির সংস্কার করতে প্রায় ৩ কোটি ২২ লাখ ডলার (প্রায় ৩৭৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা) খরচ হবে।
যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী প্রপারটি কনসালট্যান্সি অ্যান্ড এস্টেট এজেন্ট ‘কার্টার জোনাস’-এর আলী রানা দ্বীপটি বিক্রির কাজ দেখভাল করছেন।
আলী রানা বলেন, ‘বিয়ের আয়োজনের (ডেস্টিনেশন ওয়েডিং) জন্য দ্বীপটি ব্যবহার হতে পারে।’
দ্বীপটির নতুন মালিক যে-ই হন, তিনি একাই কিন্তু সেটির বাসিন্দা হবেন না; বরং আগে থেকেই সেখানে ১৫ ভূত বসবাস করছে, যারা সবাই সাবেক সেনাসদস্য।
মরগ্যান বলেন, ‘সবাই ব্রিটিশ সেনা ছিলেন। আমাদের সুরক্ষা করতে তাঁরা এখানে আছেন। যখন জীবিত ছিলেন, তখন তাঁরা এটাই করেছেন এবং তাঁরা এখনো সেটাই করে যাচ্ছেন।’
মরগ্যান বলেন, ‘আমি এখানে এমন অনেক কিছু দেখেছি, তাঁদের উপস্থিতি প্রমাণের জন্য যা যথেষ্ট। যদিও এর ব্যাখ্যা আমি দিতে পারব না, কিন্তু এ সবকিছুই সত্যই দারুণ।’