দোনেৎস্ক পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: রাশিয়া

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ
ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় স্বঘোষিত দোনেৎস্ক প্রজাতন্ত্রের পুরো এলাকা ‘মুক্ত’ না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়া দেশটিতে তাদের বিশেষ সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে আজ বুধবার এ কথা জানানো হয়েছে। খবর আল–জাজিরার।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, দোনেৎস্ক প্রজাতন্ত্র পুরোপুরি ‘মুক্ত’ করার লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ অব্যাহত থাকবে। এদিকে রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন আগামী শুক্রবার দোনেৎস্ককে রাশিয়ার অংশ করার ঘোষণা দিতে পারেন।

দোনেৎস্ক পূর্ব ইউক্রেনের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অধ্যুষিত অঞ্চল। সেখানকার রাশিয়া–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা দোনেৎস্ককে একটি ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’ ঘোষণা করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযান’ শুরুর কয়েক দিন আগে দোনেৎস্কে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় মস্কো।

গত শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দোনেৎস্কসহ ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বের চারটি অঞ্চলে গণভোটের আয়োজন করেছিল রাশিয়ার নিয়োগকৃত এসব অঞ্চলের কর্মকর্তারা। হামলা শুরুর পর রুশ বাহিনী দোনেৎস্কের বেশির ভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিলেও ইউক্রেনের সেনাদের হাতে এখনো অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলোর খবরে দোনেৎস্কের রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দাবি করা হয়েছে, গণভোটে দোনেৎস্কের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দা রাশিয়ার অংশ হওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ভোটের ফল কী হবে, তা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে ক্রেমলিন।

গণভোট হয়েছে দনবাস অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী–নিয়ন্ত্রিত দুই স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক এবং খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ায়। এ অঞ্চলগুলো পুরোপুরি বা আংশিক মস্কোর নিয়ন্ত্রণে। গণভোটের আনুষ্ঠানিক ফল নিজেদের পক্ষে গেলে এসব অঞ্চল রাশিয়ার অংশ হিসেবে যুক্ত করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে চায় কি না, তা যাচাইয়ে গণভোটের আয়োজন করা হয়। আগামী শুক্রবার গণভোটের ফল ঘোষণা করা হতে পারে।