তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধারে কাজ চলছে। জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে। তবু স্বজনদের ফিরে পেতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে অনেকে ধ্বংসস্তূপের পাশে অপেক্ষা করছেন।
এদিকে এ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে তুরস্কের ১০টি অঞ্চল। এ অবস্থার মধ্যে ধ্বংসস্তূপ এলাকায় লুটপাটও চলছে। লুটপাটের এ ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ভিন্ন ভিন্ন আটটি প্রদেশ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূমিকম্প আঘাত হানে। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশি বিপর্যস্ত তুরস্কে মারা গেছেন ২৪ হাজার ৬১৭ জন। আর সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫৭৫ জন।
তুরস্কের ভূকম্পনপীড়িত ১০টি অঞ্চলে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
তুরস্কে ভূমিকম্পের ১২৯ ঘণ্টা পর পাঁচ সদস্যের একটি পরিবারকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের নুরদাগ শহর থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করে তাঁদের বের করে আনার পর উদ্ধারকর্মীরা ‘সৃষ্টিকর্তা মহান’ বলে তাঁদের আনন্দ প্রকাশ করেন। স্থানীয় পত্রিকা হেবারতুর্কের বরাত দিয়ে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রথমে মা হাভভা ও মেয়ে ফাতমাগুল আসলানকে উদ্ধার করেন। এরপর উদ্ধারকর্মীরা বাবা হাসান আসলামকে খুঁজে পান। এ সময় তিনি মেয়ে জায়নেপ ও ছেলে সালতিক বুগরাকে প্রথমে উদ্ধার করতে অনুরোধ করেন।