কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর একটি নৌযান (প্যাট্রোল বোট) ধ্বংসের দাবি করে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইউক্রেন
কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর একটি নৌযান (প্যাট্রোল বোট) ধ্বংসের দাবি করে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইউক্রেন

কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরের আরেক জাহাজ ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের

কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর একটি নৌযান (প্যাট্রোল বোট) ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন। ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে টহলের কাজে ব্যবহৃত ওই নৌযানে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইউক্রেন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জিইউআর। ড্রোন আঘাত হানার পর নৌযানটি ডুবে যায় বলে জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে আজ মঙ্গলবার জিইউআর জানিয়েছে, রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যে কার্চ প্রণালিতে নৌযানটিকে ধ্বংস করেছে ‘গ্রুপ ১৩’ নামের ইউক্রেন সামরিক বাহিনীর একটি বিশেষ শাখা। নৌযানটি ধ্বংসের দাবি করে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।

ধ্বংস হওয়া ওই নৌযানের দাম ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দার মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ জানিয়েছেন, হামলায় নৌযানটিতে থাকা অনেকে নিহত হয়েছেন। কয়েকজন আহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেটি থেকে কয়েক নাবিক বেঁচে ফিরতেও পেরেছেন।

রাশিয়ার ওই নৌযান তাদের কৃষ্ণসাগরে মোতায়েনকৃত নৌবহরের অংশ ছিল। এ নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাক টেলিগ্রামে বলেন, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্তোপোল বন্দরে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহর হচ্ছে রুশ ‘দখলদারির একটি নিদর্শন’। অপর দিকে ইউক্রেনের এ হামলার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তখন থেকেই কৃষ্ণসাগর একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বিগত কয়েক মাসে সেখানে অবস্থান নেওয়া রুশ নৌবহরের ওপর বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে কিয়েভ বাহিনী। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই নৌবহরের দুটি যুদ্ধজাহাজে হামলার ঘটনা ঘটেছে।