রাশিয়ার দক্ষিণের কুরস্ক অঞ্চলে গত পাঁচ মাসে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে রুশ বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই সময়ে কুরস্কে রাশিয়ার প্রায় ১৫ হাজার সেনা নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল সোমবার এ দাবি করেছেন।
গতকাল রাতে নিয়মিত ভিডিও ভাষণ দেন জেলেনস্কি। ভাষণে তিনি বলেন, কুরস্কে অভিযান চলাকালে শত্রুপক্ষ (রাশিয়া) প্রায় ১৫ হাজার সেনা হারিয়েছে, যা অপূরণীয় ক্ষতি।
তবে কুরস্কে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতির যে হিসাব জেলেনস্কি দিয়েছেন, তা যথার্থ কি না—এমন কোনো প্রমাণ তিনি হাজির করেননি।
গত আগস্টে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ব্যাপক অভিযান শুরু করে ইউক্রেন। তারা অঞ্চলটির কিছু অংশ দখল করে নেয়। যদিও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দাবি, বেদখল হওয়া ভূখণ্ডের বেশির ভাগ অংশ তারা পুনরুদ্ধার করেছে।
ইউক্রেন বলেছে, তারা গত রোববার অঞ্চলটিতে নতুন আক্রমণ শুরু করেছে। তবে এ ব্যাপারে তারা বিস্তারিত কিছু বলেনি।
ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের হিসাবমতে, রুশ বাহিনীর পাশাপাশি প্রায় ১১ হাজার উত্তর কোরীয় সেনা কুরস্ক অঞ্চলে মস্কোর হয়ে লড়াই করছেন।
কুরস্কে উত্তর কোরীয় সেনাদের উপস্থিতির কথা নিশ্চিত বা অস্বীকার—কোনোটাই করেনি রাশিয়া।
গতকাল সোমবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনের অগ্রসর হওয়ার প্রচেষ্টা বানচাল করা হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে কুরস্ক শহরমুখী একটি রাস্তার কাছের বেরদিন বসতির কাছে অবস্থানরত ইউক্রেনের বাহিনীকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, পূর্ব ইউক্রেনে কুরাখোভ শহর দখলসহ গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে রুশ বাহিনী।
তবে জেলেনস্কি তাঁর বক্তব্যে কুরাখোভের বিষয়ে কিছুই বলেননি। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে একটি ‘বাফার জোন’ (সংঘাতের প্রভাব এড়াতে বিশেষ অঞ্চল) প্রতিষ্ঠা করেছে। এলাকাটিতে রাশিয়া শক্তিশালী একাধিক সামরিক ইউনিট স্থানান্তর করেছিল। বর্তমান অবস্থায় পূর্ব ইউক্রেনের প্রধান যুদ্ধক্ষেত্রে এই ইউনিটগুলো মোতায়েন করতে পারছে না তারা।