নির্বাচনে ভরাডুবির পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন
নির্বাচনে ভরাডুবির পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন

কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের দৌড়ে দুই নারীসহ ছয়জন

সাধারণ নির্বাচনে বিপর্যয়কর পরাজয়ের পর দলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনপ্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টি। নতুন নেতৃত্বের এই লড়াইয়ে রয়েছেন দুই নারীসহ ছয়জন।

২৪ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয় টোরি নেতা। তাঁরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি প্যাটেল, যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি, সাবেক কেবিনেট মিনিস্টার রবার্ট জেনেরিক, কর্ম ও পেনশনবিষয়ক বর্তমান ছায়ামন্ত্রী মেল স্ট্রাইড, সাবেক নিরাপত্তামন্ত্রী টম টুগেনধাত ও বর্তমান ছায়া আবাসনমন্ত্রী কেমি ব্যাডনোচ।

কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতৃত্বের দৌড়ে আছেন (ওপরে বাঁ থেকে) কেমি ব্যাডনোচ, জেমস ক্লেভারলি, রবার্ট জেনেরিক, (নিচে বাঁ থেকে) প্রীতি প্যাটেল, মেল স্ট্রাইড ও টম টুগেনধাত

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রত্যেক প্রার্থীকে দলের ন্যূনতম ১০ জন আইনপ্রণেতার (এমপি) সম্মতিপত্র এবং দলের তহবিলে দুই লাখ পাউন্ড সংগ্রহ করে জমা দেওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।

পাঁচ ধাপে নির্বাচিত হবেন কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী কর্ণধার। ছয় প্রার্থীর মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্বে সেপ্টেম্বরে দলের এমপিদের ভোটে দুজন বাদ পড়ে চারজন প্রার্থী থাকবেন। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবরে দলীয় সম্মেলনের তৃতীয় পর্বে চার প্রার্থী থেকে দলীয় এমপিরা দুজনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন।

এরপর চতুর্থ পর্বে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে একজনকে নেতা নির্বাচিত করবেন দলীয় সদস্যরা। ২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন নেতার নাম ঘোষণা করা হবে।

৪ জুলাই যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ফল করার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে পরবর্তী নেতৃত্ব নির্বাচনের আগপর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তিনি।