দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে একটি বন্দিশিবিরে ৩৬ হাজার মানুষকে হত্যায় সহায়তার দায়ে ৯৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করেছে জার্মানির বার্লিনের পাবলিক প্রসিকিউটর দপ্তর। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি একটি বন্দিশিবিরের প্রহরী ছিলেন।
যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ওই প্রহরীর নাম হান্স এইচ। তিনি ১৯৪৪ সালের গ্রীষ্মকাল থেকে ১৯৪৫ সালের বসন্তকাল পর্যন্ত অস্ট্রিয়ার লিন্জ শহরের পাশে মাউটহাউসনে এক বন্দিশিবিরে সশস্ত্র প্রহরী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
বার্লিনের পাবলিক প্রসিকিউটর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, হান্স এইচ সশস্ত্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ৩৬ হাজার যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছিল। নিহত ওই যুদ্ধবন্দীদের অধিকাংশ ব্যক্তিকেই বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে হত্যা কর হয়। অন্য যুদ্ধবন্দীদের বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন হিটলারের নাৎসি বাহিনীর হাতে প্রায় দুই লাখ মানুষ বিভিন্ন বন্দিশিবিরে আটক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক বন্দীকে সে সময় হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পোল্যান্ডের ডানজিক শহরের কাছে স্টুটফ বন্দিশিবিরে ৯৪ বছর বয়সী সাবেক সশস্ত্র প্রহরী জোহান আরের বিরুদ্ধে বন্দীদের হত্যার অভিযোগ এনেছে ডর্টমুন্ড পাবলিক প্রসিকিউটর দপ্তর। এই সশস্ত্র প্রহরীর বিরুদ্ধে ১৯৪২ থেকে ১৯৪৪ পর্যন্ত স্টুটফ বন্দিশিবিরে কয়েক শ বন্দীকে হত্যায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর নাৎসি বাহিনীর অনেক বড় নেতার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। অনেক যুদ্ধাপরাধী গা ঢাকা দেন বা বিচারর আওতার বাইরে থাকেন। তবে যুদ্ধ–পরবর্তী সময়ে এসব যুদ্ধাপরাধীদের খুঁজে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের বয়সের কথা বিবেচনা না করে অপরাধকেই বিচারের মাপকাঠি হিসাবে দেখা হচ্ছে।