২০৩০ সালের মধ্যে নতুন পেট্রল ও ডিজেলচালিত গাড়ি বন্ধ করবে যুক্তরাজ্য

বরিস জনসন
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্য সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন পেট্রল ও ডিজেলচালিত গাড়িতে নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে। দেশটির সবুজ শিল্পবিপ্লবের অংশ হিসেবে আড়াই লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার কথা বলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। খবর রয়টার্সের।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী দেখাতে চাইছেন যে তাঁর সরকার ইশতেহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণের পথে রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে একটি নিবন্ধ লিখেছেন তিনি। তাতে তিনি বলেছেন, সবুজ পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা করার ও উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন চাকরি সৃষ্টি করার এখনই সময়, যাতে মানুষ সন্তুষ্ট থাকে। তারা যেন জানতে পারে যে তারা দেশকে আরও পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করছে।

বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭–এর সদস্যদের মধ্যে যুক্তরাজ্য প্রথম দেশ হিসেবে গত বছর ২০৫০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন শূন্যের কোঠায় নামানোর জন্য আইন পাস করে। এতে যুক্তরাজ্যবাসীর ভ্রমণ, শক্তিব্যয় ও খাবারে ব্যাপক পরিবর্তন আনার প্রয়োজন পড়বে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে জনসন অবশ্য পেট্রল ও ডিজেলের গাড়ি বিক্রি বন্ধে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন সে সময় আরও কমিয়ে আনছেন। জনসন বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে আড়াই লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সাহায্য করবে তাঁদের এ পরিকল্পনা। ২০৩০ সালের মধ্যে পেট্রল ও ডিজেলচালিত গাড়ি এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে নতুন হাইব্রিড গাড়ি বিক্রি বন্ধ করবে দেশটি।
প্রযুক্তি ও নয়বানযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথা বলেছেন জনসন। তাঁর এ পরিকল্পনাকে বিভিন্ন শিল্প খাত থেকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।

কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জোশ হার্ডি বলেন, যুক্তরাজ্যজুড়ে বিশাল বিনিয়োগ ও সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশাল এক সুযোগ, যা সত্যিকারের কম কার্বন নির্গমনকারী দেশ হিসেবে বয়ে আনা যায়।