স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাহয় পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে বরখাস্ত হয়েছেন।
সমাজতন্ত্রী নেতা পেদ্রো সানচেজ নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে রাহয়ের নাম জড়িয়ে পড়লে সানচেজ তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন।
শুক্রবারের ভোটের আগে সানচেজ বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি নতুন পৃষ্ঠা স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি।’
আধুনিক স্পেনের ইতিহাসে রাহয় হচ্ছেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি অনাস্থা ভোটে পরাজিত হলেন।
রক্ষণশীল পপুলার পার্টির (পিপি) এই নেতা ২০১১ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
শুক্রবার বিতর্কের দ্বিতীয় দিনে রাহয় পরাজয় স্বীকার করে নেন এবং সাংসদদের বলেন, ‘আমি যা প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, তার চেয়ে উত্তম একটি স্পেন রেখে যেতে পারা সম্মানের ব্যাপার।’
বাস্ক ন্যাশনাল পার্টিসহ ছোট ছোট কয়েকটি দলের সমর্থন পেয়ে সানচেজ অনাস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেন। প্রস্তাবের পক্ষে ১৮০ জন এবং বিপক্ষে ১৬৯ জন সাংসদ ভোট দেন।
সানচেজ বলেন, রাহয় (৬৯) দুর্নীতিতে তাঁর দলের সংশ্লিষ্টতার দায় নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। গত সপ্তাহে দলটির একজন সাবেক কোষাধ্যক্ষের ৩৩ বছর কারাদণ্ড হলে দুর্নীতির খবরটি আবার পত্রিকায় আসে।
মাদ্রিদের হাইকোর্ট লুইস বার্চেনাসকে ঘুষ গ্রহণ, অর্থ পাচার এবং কর ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেন।
স্পেনের বহু ভোটার ঐতিহ্যবাহী মধ্যডান পিপি এবং মধ্যবাম সোশ্যালিস্ট পার্টির দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে ক্রুদ্ধ হয়ে বামপন্থী পদেমোস (আমরাও পারি) এবং বাজার সমর্থক চিউদাদানোসের (নাগরিক) মতো নবাগত এবং আঞ্চলিক দলগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।