স্নেক আইল্যান্ডে ফসফরাস বোমা ফেলেছে রাশিয়া, দাবি ইউক্রেনের

প্রতীকী ছবি
, ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

স্নেক আইল্যান্ডে রাশিয়া অগ্নিসংযোগকারী ফসফরাস বোমা ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের মালিকানাধীন এ দ্বীপ এলাকা থেকে রুশ সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার এক দিন পরই এ অভিযোগ করা হলো। খবর আল–জাজিরার।

ফসফরাস বোমা হলো একধরনের অগ্নিসংযোগকারী বোমা। আন্তর্জাতিকভাবে বেসামরিকদের বিরুদ্ধে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানতে এর ব্যবহার করা যায়।

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এক টেলিগ্রাম পোস্টে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ ভ্যালেরি জালুঝনি বলেন, রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়া অঞ্চল থেকে দুটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান উড়ে এসে ফসফরাস বোমা ফেলেছে।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রুশ বিমানবাহিনী এসইউ-৩০ বিমান থেকে জামিনি আইল্যান্ডে দুবার ফসফরাস বোমা ফেলা হয়েছে।’ স্নেক আইল্যান্ড দ্বীপটি জামিনি আইল্যান্ড নামেও পরিচিত।

গত বৃহস্পতিবার স্নেক আইল্যান্ড থেকে সরে যান রুশ সেনারা। একে ‘বন্ধুত্বের নিদর্শন’ বলে উল্লেখ করেছে রুশ সেনাবাহিনী। বলেছে, কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলো থেকে নিরাপদ শস্য রপ্তানি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তাতে হস্তক্ষেপ করবে না মস্কো।

গতকাল ইউক্রেনের সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, রাশিয়া নিজেদের ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ থাকতে পারছে না।

‘স্নেক আইল্যান্ড’ থেকে সেনা প্রত্যাহার রাশিয়ারইউক্রেন কর্তৃপক্ষের দেওয়া বিবৃতির সঙ্গে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, একটি বিমান থেকে আইল্যান্ডের ওপর কমপক্ষে দুবার বোমা ফেলা হচ্ছে।
কিয়েভের অভিযোগ, গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর বেশ কয়েকবার ফসফরাস বোমা ব্যবহার করেছে মস্কো। এ বোমা দিয়ে বেসামরিক এলাকায়ও হামলা করা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেন দাবি করেছে, গোলা বারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে রুশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা স্নেক আইল্যান্ড থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

দানুবে দেলতা থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে ইউক্রেনীয় উপকূলে স্নেক আইল্যান্ডের অবস্থান। যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই এটিকে ইউক্রেন সীমানায় সেনানিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হতো।