রোজ একই বাড়িতে থেকে, একই দৃশ্য দেখে জীবনটা পানসে হয়ে উঠেছিল বসনিয়ার এক দম্পতির। একদিন স্বামীর কাছে স্ত্রী আবদার করলেন, একঘেয়েমি কাটাতে তাঁদের বাড়িটি যেন এমনভাবে তৈরি করা হয়, বাড়ির ভেতর থেকে যেন বৈচিত্র্যময় দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
স্ত্রীকে খুশি করতে কাজে লেগে পড়েন তাঁর স্বামী। স্থাপত্যবিদ্যায় পড়াশোনা না থাকলেও ৭২ বছর বয়সী ভজিন কুসিচ স্ত্রীর চাওয়ার মতো করেই ঘূর্ণমান একটি বাড়ি বানিয়ে ফেললেন, যেটি ঘুরিয়ে তাঁর স্ত্রী চাইলে সূর্যোদয় দেখতে পারেন আবার রাস্তায় হেঁটে যাওয়া মানুষও দেখতে পারেন।
নিজের তৈরি নতুন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ভজিন বলেন, ‘ওর অভিযোগ শুনে শুনে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের এই বাড়ির পুনর্বিন্যাসের আবদার করছিল সে। আমি তাকে বলেছি, আমি তোমার জন্য ঘূর্ণমান একটি বাড়ি বানাব। যখন খুশি তুমি এটি ঘুরিয়ে দিতে পারবে।’
বসনিয়ার উত্তরাঞ্চলে সারবাক শহরের পাশে তৈরি করা বাড়িটি স্থানীয় লোকজনের মধ্যেও বেশ আলোড়ন তুলেছে। সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে বাড়িটি দেখতে আসেন।
বাড়িটি সাত মিটার অক্ষের চারপাশে ঘোরানো যায়। এর জানালা দিয়ে কখনো ভুট্টাখেত বা খামারের জমি, কখনো জঙ্গল, আবার চাইলে নদীর দৃশ্যও উপভোগ করা যাবে।
সবচেয়ে কম গতিতে ঘুরলেও বাড়িটি ২৪ ঘণ্টায় একটি পূর্ণ বৃত্ত তৈরি করতে পারে।
আর সর্বোচ্চ গতিতে ঘুরলে পূর্ণ বৃত্ত তৈরিতে এর সময় লাগে ২২ সেকেন্ড। তবে চাইলে নিজের ইচ্ছেমতো এর গতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কুসিচ বলেন, ‘এটি উদ্ভাবনের কিছু নয়। এমন বাড়ি বানাতে চাই ইচ্ছা আর জ্ঞান।’ যদিও নতুন বাড়ির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কুসিচের স্ত্রী।