সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় জার্মান সরকার সৌদি আরবে সব ধরনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ ঘোষণা করেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জার্মানির অর্থনৈতিক ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানিয়েছে, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় জার্মান সরকার ও সৌদি সরকারের মধ্য স্বাক্ষরিত সব অস্ত্র চুক্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বব্যাপী সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। জার্মানির অর্থনৈতিক ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব অস্ত্র ও সরঞ্জাম ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে বা পাঠানোর অপেক্ষায় ছিল, সেই সব অস্ত্র ও সরঞ্জাম এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়বে।
জার্মান অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, মেকলেনবুর্গ-ফরপমেন রাজ্যের একটি জাহাজ তৈরির কোম্পানিতে সৌদি নৌবাহিনীর জন্য ২০টি প্যাট্রল বোট বানানোর চুক্তি হয়েছিল। ইতিমধ্যে দুটি প্যাট্রল বোট পাঠানোর অপেক্ষায় ও আটটি প্যাট্রল বোট তৈরি শেষ পর্যায়ে ছিল। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন অনেক ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম সৌদি আরবে সরবরাহ করা হবে না। এই নিষেধাজ্ঞা কত দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, তা এখনো জানানো হয়নি।
অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, জার্মান সরকার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকেও সৌদি আরবে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবার বিষয়ে কথা বলছেন। তবে এখন পর্যন্ত জার্মানি ছাড়া এই বিষয়ে অন্য কোনো দেশ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এর আগে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যায় জড়িত ১৮ সৌদি নাগরিকের জার্মানি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এই একই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইউরোপের শেনগেন ভিসাভুক্ত দেশগুলো। অবশ্য বেশ কিছুদিন আগে থেকেই জার্মানির পার্লামেন্টে গ্রিন পার্টি ও বাম দল ইয়েমেনে যুদ্ধের কারণে সৌদি আরবে সব ধরনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবার দাবি জানিয়ে আসছিল।