ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পূর্বাঞ্চলীয় সেভেরোদোনেৎস্ক এবং পার্শ্ববর্তী লিসিচানস্ক শহরে রুশ বাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনীয় বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। শহর দুটি কার্যত ‘মৃত শহরে’ পরিণত হয়েছে। খবর বিবিসির।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী। তাদের সেনারা বর্তমানে লুহানস্কের অনেকটাই দখলে নিয়েছেন। পার্শ্ববর্তী দোনেৎস্ক অঞ্চলেও উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন তাঁরা। এ দুই অঞ্চল মিলেই মূলত দনবাস গঠিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার লুহানস্ক অঞ্চলের সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য রাস্তায় রাস্তায় লড়াই চলেছে। বিমান থেকে ক্রমাগত ছোড়া হয়েছে গোলা। জেলেনস্কি বলেন, সেভেরোদোনেৎস্ক শহরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর যে–সংখ্যক সেনা অবস্থান করছে, তার তুলনায় রুশ বাহিনীর সেনাসংখ্যা বেশি।
পার্শ্ববর্তী লিসিচানস্ক শহরেও গোলা হামলা জোরদার হয়েছে। ওলেকসান্দর লিয়াখোভেৎস নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, তাঁর ফ্ল্যাটেও রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘তারা এখানে ক্রমাগত গুলি করেছে। খুব ভয়াবহ দৃশ্য ছিল এটি।’ গত রোববার লিসিচানস্ক শহরটি পরিদর্শন করেছেন জেলেনস্কি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শহর দুটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়াটা রাশিয়ার কৌশলগত লক্ষ্য। কারণ, এ দুটি শহর দখলের মধ্য দিয়ে গোটা লুহানস্ক অঞ্চলের দখল নিতে পারবেন রুশ সেনারা।
গতকাল জেলেনস্কি বলেন, সেভেরোদোনেৎস্ক শহরে রুশ সেনারা সংখ্যায় বেশি হলেও ইউক্রেনীয় সেনারা নিজেদের অবস্থান বজায় রেখেছেন। পাল্টা লড়াই চালানোর সব সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন তাঁরা।
এর আগে গতকাল সকালে ইউক্রেনের জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেহেরি হাইদাই বলেন, ‘সেভেরোদোনেৎস্কে তীব্র লড়াই চলছে। রুশ হামলার মুখে আমাদের সেনারাও কিছু সময় পাল্টা হামলা চালিয়েছিলেন। তাঁরা শহরটির প্রায় অর্ধেক মুক্ত করেছেন। তবে এখন আবার আমাদের জন্য পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে।’