ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য ও ডিউক অব ইয়র্ক প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সামরিক ও রাজকীয় মর্যাদা ফেরত নিয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রাজপরিবারের বাসভবন ও প্রশাসনিক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। রাজপরিবারের একটি সূত্র বলেছে, তিনি তাঁর রাজপদবি ‘হিজ রয়্যাল হাইনেসের’ যে ক্ষমতা, তা আর ব্যবহার করতে পারবেন না।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যৌন নিপীড়নের ঘটনায় প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে—এর পরিপ্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো। যদিও এই অভিযোগ প্রিন্স অ্যান্ড্রু অস্বীকার করেছেন। প্রিন্স অ্যান্ড্রুর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছে, নিউইয়র্কে যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা তিনি অস্বীকার করে যাবেন।
এদিকে বাকিংহাম প্যালেসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রানির অনুমোদন সাপেক্ষে ডিউক অব ইয়র্কের সামরিক ও রাজকীয় মর্যাদা ফেরত নেওয়া হয়েছে। তিনি আর কোনো দায়িত্বে থাকবেন না। একজন বেসামরিক নাগরিক হিসেবে তিনি মামলা লড়বেন।
সূত্র বলেছে, এসব সিদ্ধান্ত শিগগিরই কার্যকর হবে। তিনি যেসব দায়িত্বে ছিলেন, তা রাজপরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। বিষয়টি নিয়ে রাজপরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
হ্যারি ও মেগানের মতো প্রিন্স অ্যান্ড্রুও ‘হিজ রয়্যাল হাইনেস’ ধরে রাখতে পারবেন। তবে কোনো সরকারি কাজে তিনি এটা ব্যবহার করতে পারবেন না।
বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এলেও যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তিনি সামরিক মর্যাদা হারিয়েছেন, তা–ও নিশ্চিত করেনি মন্ত্রণালয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ভার্জিনিয়া জিউফ্রে নামের এক নারী যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, ২০০১ সালে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। সে সময় এই নারীর বয়স ছিল মাত্র ১৭। মার্কিন ধনকুবের জেফরি এপস্টেইন তাঁকে অ্যান্ড্রুর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বন্ধু এপস্টেইন। শিশু-কিশোরীদের পাচার ও জোর করে যৌনদাসীর কাজ করানোর মতো গুরুতর অভিযোগে কারাবাসে থাকা অবস্থায় আত্মহত্যা করেন জেফরি এপস্টেইন।
ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারীদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দ্বিতীয় ছেলে।