বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন কারাবন্দী ওই আলোকচিত্রীর স্বজনেরা। গতকাল শুক্রবার লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে লন্ডনে দুদিনের যাত্রাবিরতি করছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি লন্ডনে পৌঁছান। রোববার সকালে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা।
শহিদুল আলমের মুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে শুক্রবার লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহিদুল আলমের বড় বোন কাজী নাজমা করিম, ভাগনি সোফিয়া করিমসহ তাঁর বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অংশ নেন। তাঁরা শহিদুল আলমের মুখোশ ও তাঁর মুক্তির দাবি সংবলিত টি-শার্ট পরেন। তাঁর মুক্তির দাবিতে লেখা ব্যানার-পোস্টার হাতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আশপাশের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে অবস্থান নেয়। শহিদুল আলমের মুক্তির পাশাপাশি আটক সব বন্দীর মুক্তি দাবি করেন তাঁরা।
শহিদুল আলমের বড় বোন কাজী নাজমা করিম প্রথম আলোকে বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪০ দিন অতিবাহিত হলেও তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। জামিন না দিয়ে তাঁকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শহিদুল আলমের প্রতি রাষ্ট্র কর্তৃক এমন অন্যায়ের দ্রুত অবসান চান তিনি।
শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করার পর থেকে তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়ে যুক্তরাজ্যে নানা কর্মসূচি পালন করছেন তাঁর স্বজনেরা। ৭ সেপ্টেম্বর একই স্থানে বিক্ষোভ করেছিলেন তাঁরা। শহিদুল আলমের মুক্তির দাবিতে তাঁর ভাগনি স্থপতি সোফিয়া করিমের লেখা এক খোলা চিঠিতে সমর্থন জানিয়ে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাজ্যের সৃজনশীল জগতের ৭০ জনের বেশি শিল্পবোদ্ধা।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন এমপি—রুশনারা আলী, রূপা হক ও টিউলিপ সিদ্দিক শহিদুল আলমের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন।
শহীদুলকে নিয়ে শ্যারন স্টোনের টুইট
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনস্থলের বাইরে শহিদুল আলমের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শহিদুল আলমের বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সেই বিক্ষোভকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে টুইট করেছেন বিখ্যাত হলিউড অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন।