গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। দেশটি থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে বিশ্বের বড় অনেক প্রতিষ্ঠান। কোকাকোলা, পেপসিসহ বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। এরই মধ্য অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাশিয়ায় ব্যবসা বন্ধ করতে অস্বীকৃতিও জানিয়েছে। এদের মধ্য অন্যতম বার্গার কিং।
রাশিয়ায় ব্যবসা বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বার্গার কিংয়ের স্থানীয় ৮০০ স্টোরের পরিচালক। মূল মালিক রেস্তোরাঁ ব্র্যান্ড এসব কথা জানিয়েছে। ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় বহু পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। তবে ভিন্ন বার্তা এল বার্গার কিংয়ের পক্ষ থেকে। খবর বিবিসির।
বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডটি জানিয়েছে, ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ায় ব্যবসা বন্ধ করতে স্থানীয় পরিচালক আলেক্সান্দার কোলোবোভের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেছে। তবে বিদেশি অংশীদারের সঙ্গে ‘জটিল’ চুক্তি থাকায় তারা সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না।
ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে ম্যাকডোনাল্ডস, কোকাকোলা ও স্টারবাকসের মতো অনেক পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান। তবে দেশটিতে এখনো ব্যবসা বন্ধ করেনি বার্গার কিং এবং যুক্তরাজ্যের মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে ‘জটিল’ চুক্তি থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
স্টাফদের লেখা এক চিঠিতে বার্গার কিংয়ের ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ডেভিড শিয়ার বলেন, ‘আমরা প্রধান পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং রাশিয়ায় বার্গার কিং রেস্টুরেন্টের ব্যবসা বন্ধের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তিনি সেটা করতে অস্বীকার করেছেন।’
শিয়ার আরও বলেন, বার্গার কিংয়ের স্থানীয় এই ব্যবসায় কোনো পরিবর্তন আনতে হলে শেষ পর্যন্ত রুশ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন। আর আমরা জানি, বাস্তবে খুব শিগগিরই এটা হচ্ছে না।
বার্গার কিং ১০ বছর আগে প্রধান পরিচালক কোলোবোভ, রাশিয়ার ভিটিবি ক্যাপিটাল ও ইউক্রেনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে রাশিয়ায় ব্যবসা শুরু করে। ভিটিবি ক্যাপিটাল রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভিটিবি ব্যাংকের একটি সহপ্রতিষ্ঠান। ভিটিবি ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদেশগুলো।
শিয়ার বলেন, রাশিয়ার এই যৌথ ব্যবসায় রেস্টুরেন্ট ব্র্যান্ড ১৫ শতাংশ ক্ষুদ্র শেয়ারের মালিক। এই শেয়ার তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুত কাজটা করতে চাইছি, কিন্তু এটা স্পষ্ট যে যৌথ ব্যবসায় করা বর্তমান চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এতে কিছুটা সময় লাগবে।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক অবরোধ আরোপ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। দেশটি থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে ব্যাপক চাপে রয়েছে পশ্চিমা কোম্পানিগুলোও।