কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস ডিফেন্ডারকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাহাজটিকে সতর্ক করতে এসব করা হয়েছে।
কিন্তু এ ঘটনা ঘিরে রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হচ্ছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়, রাশিয়ার ২০টি উড়োজাহাজ ও কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ ব্রিটিশ ওই জাহাজের পিছু নিয়েছিল। ক্রিমিয়ার কাছাকাছি এ ঘটনা ঘটে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ক্রিমিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে ব্রিটিশ ওই যুদ্ধজাহাজের পথে তাদের টহল জাহাজ গুলি ছুড়েছে এবং যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের সরকার এ ঘটনা অস্বীকার করেছে।
জাহাজটি কৃষ্ণসাগর হয়ে জর্জিয়া যাচ্ছিল। রাশিয়া বলেছে, এটি রাশিয়ার সমুদ্রসীমায় ঢুকে পড়ছিল। তবে যুক্তরাজ্য সরকার এ বক্তব্য উড়িয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন মেনে জাহাজটি চলছিল। এ ছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এক মুখপাত্র বলেছেন, তাঁদের যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে কিংবা জাহাজটি রাশিয়ায় সমুদ্রসীমায় ঢুকেছিল—এ দুটির কোনোটিই সঠিক নয়।
বৃহস্পতিবার বরিস জনসন বলেন, ‘রাশিয়া সংযুক্ত ক্রিমিয়া উপকূলে দেশটির সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার পরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় বৈধভাবে চলছিল যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক জলসীমা ব্যবহার করা পুরোপুরি উপযুক্ত। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হলো, রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার বিষয়টি আমরা স্বীকৃতি দিই না।’
এদিকে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ রাশিয়ার জলসীমায় ঢোকার ঘটনায় যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে মস্কো। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ তাদের জলসীমায় ঢোকার পর গুলি চালিয়ে সেটিকে সতর্ক করা হয়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া ঝাকারোভা যুক্তরাজ্যের প্রতিক্রিয়ায় মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন। যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার প্রকৃত বিবরণ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।