মেয়ের নাম রাখতে ‘রানির অনুমতি নেননি’ হ্যারি-মেগান

প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেলের ফাইল ছবি
রয়টার্স

বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না যুক্তরাজ্যের প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের। তাঁদের কোলজুড়ে সদ্য জন্ম নেওয়া কন্যাসন্তানের নাম নিয়ে নতুন বিতর্ক ডানা মেলেছে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ডাকনামের সঙ্গে মিলিয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন এ দম্পতি। এখন রাজপরিবারের সূত্র বলছে, নাম রাখার আগে রানির অনুমতি নেননি হ্যারি-মেগান। রানির সম্মতি ছাড়া মেয়ের এ নাম রাখতে পারেন না তাঁরা।

গত রোববার এক বিবৃতিতে ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান তাঁদের সংসারে নতুন অতিথি আসার খবর জানান। বলেন, ৪ জুন সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারার একটি হাসপাতালে জন্ম নিয়েছে তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান। মেয়ের নাম রাখা হয়েছে লিলিবেত ডায়ানা মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসর। সংক্ষেপে লিলি নামে পরিচিত হবে সে। ব্রিটিশ সিংহাসনের অষ্টম উত্তরাধিকারী লিলি।

বিবৃতিতে হ্যারি-মেগান দম্পতি আরও জানান, ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ডাকনাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা দ্বিতীয় সন্তানের নাম রেখেছেন ‘লিলি’। আর নামের সঙ্গে ‘ডায়ানা’ যুক্ত করা হয়েছে হ্যারির প্রয়াত মা প্রিন্সেস ডায়ানার প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে।

আজ বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শৈশবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ডাকনাম ছিল লিলি। রানির দাদা রাজা পঞ্চম জর্জ তাঁকে এ নামে ডাকতেন। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের মধ্যে তিনি এ নামে পরিচিত ছিলেন। এমনকি তাঁর স্বামী সদ্য প্রয়াত ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপও রানিকে এ নামে ডাকতেন। ফলে নামটি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।

এখন নাম প্রকাশ না করে প্রাসাদের একটি সূত্র বিবিসিকে বলেছে, মেয়ের নাম লিলি রাখার আগে হ্যারি-মেগান দম্পতি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে জানাননি। তাঁর অনুমতি নেননি। রানির সমর্থন ছাড়া তাঁরা মেয়ের এ নাম রাখতে পারেন না। এ নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত হ্যারি-মেগান এখনো বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে তাঁদের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, সন্তানের জন্মের আগেই তাঁর সম্ভাব্য নাম নিয়ে এ দম্পতি রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনকি রাজপরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে রানির সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। তাঁর (রানি) সমর্থন না থাকলে হ্যারি-মেগান দম্পতি এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতেন না।

এর আগে মার্কিন উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার ঘিরে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন হ্যারি-মেগান দম্পতি। ওই সাক্ষাৎকারে রাজপরিবারের অন্দরের নানা খবর, বর্ণবাদী অভিযোগের কথা বাইরে এনেছিলেন তাঁরা। ২০২০ সালের মার্চে হ্যারি-মেগান তাঁদের রাজকীয় দায়িত্ব ত্যাগ করে আলোচনায় আসেন। এখন তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন।