মেক্সিকোতে তেল লাইনে বিস্ফোরণ, নিহত ৬৬

তেল পাইপে বিস্ফোরণের পর আগুনের শিখা। লাওয়ালিলপান, মেক্সিকো, ১৮ জানুয়ারি। ছবি: রয়টার্স
তেল পাইপে বিস্ফোরণের পর আগুনের শিখা। লাওয়ালিলপান, মেক্সিকো, ১৮ জানুয়ারি। ছবি: রয়টার্স

মেক্সিকোতে তেলের পাইপলাইনে বিস্ফোরণে অন্তত ৬৬ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাতে দেশটির ইদালগো প্রদেশের লাওয়ালিলপান শহরে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সন্দেহভাজন চোরেরা তেল চুরির সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে যায়।

মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ঘটনায় অন্তত ৭৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই গুরুতর। তাঁরা যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। ডজনেরও বেশি দোষীর মরদেহ ঘটনাস্থলেই পড়ে আছে। নিরাপত্তাকর্মীরা এসব দেহ ঘিরে রেখেছে।

এই দুর্ঘটনার বিষয়ে শনিবার সকালে প্রেস ব্রিফিং করেছেন, ইদালগোর গভর্নর অমর ফায়াদ। তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েক মিনিট আগে নিশ্চিত হয়েছি এখন পর্যন্ত ৬৬ জন নিহত ও ৭৬ জন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে তিনজন নারী ও ১২ বছরের এক কিশোর আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

দুর্ঘটনাস্থলে হতাহতদের স্বজনদের ভিড়। আলামত সংগ্রহ করছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। লাওয়ালিলপান, মেক্সিকো, ১৯ জানুয়ারি। ছবি: রয়টার্স

ঘটনাস্থলে হতাহতদের স্বজনেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। তাঁদের আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। মরদেহ শনাক্ত করার জন্য ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মরদেহর সঙ্গে থাকা পোশাক ও তেলের পাত্র থেকে আলামত সংগ্রহ করছেন।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তেল চুরি করার জন্য চোরেরা রাতে বেলায় পাইপে ছিদ্র করে। কিন্তু ওই ছিদ্র দিয়ে হঠাৎই বড় ফিনকির আকারে তেল বের হতে থাকে। একপর্যায়ে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায়।

মেক্সিকোর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোলিয়াম কোম্পানি পেমেক্স বলছে, ছিদ্র করার জন্য ধাতব পদার্থ দিয়ে পাইপে আঘাত করা ফলে সৃষ্ট ঘর্ষণের আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

এর আগে ২০১৩ সালে মেক্সিকো সিটিতে এক বিস্ফোরণে অন্তত ৩৭ ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন। ২০১২ সালের অপর এক গ্যাস বিস্ফোরণে দেশটিতে ২৬ ব্যক্তির মৃত্যু হয়।