রাশিয়ার হামলায় বিধ্বস্ত বন্দরনগর মারিউপোলে ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। তবে এ নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা লড়াই চালিয়ে যাবে। খবর রয়টার্সের
স্থানীয় সময় আজ সোমবার ভোর পাঁচটার মধ্যে মারিউপোলে অবস্থান করা ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিফেন্স ম্যানেজমেন্টের পরিচালক কর্নেল জেনারেল মিখাইল মিজিন্তসেভ বলেন, ‘আপনারা অস্ত্র সমর্পণ করেন। যাঁরা অস্ত্র সমর্পণ করবেন, তাঁদের নিরাপদে মারিউপোল শহর ছেড়ে যেতে দেওয়া হবে।’
তবে ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশ্চাকের ভাষ্য, মারিউপোলে আত্মসমর্পণ বা অস্ত্র সমর্পণের কোনো প্রশ্নই আসে না। রাশিয়াকে বিষয়টি আগেই জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের চতুর্থ সপ্তাহ চলছে। এ সময়ে দেশটির বড় কোনো শহর দখলে নিতে পারেনি রুশ সেনাবাহিনী। তবে বিভিন্ন শহরে বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা মারিউপোলের। দফায় দফায় বোমা হামলায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে সেখানে। এরই মধ্যে গত শনিবার মারিউপোলের কেন্দ্রে প্রবেশ করেন রুশ সেনারা।
মারিউপোলে চার লাখ মানুষের বসবাস ছিল। হামলা শুরুর পর কিছু বাসিন্দা ব্যক্তিগত গাড়িতে করে শহর ত্যাগ করতে পেরেছেন। তবে সেখানে থাকা বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নিতে বিভিন্ন সহায়তা দলকে বাধা দিয়েছে রুশ বাহিনী। এমনকি মারিউপোল থেকে কিছু লোকজনকে রাশিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আনে ইউক্রেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রুশ হামলা শুরুর পর থেকে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ইউক্রেনে ৯০২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া যুদ্ধের মুখে এক কোটি ইউক্রেনীয় ঘরবাড়ি ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা। এর মধ্যে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষ প্রাণ বাঁচাতে ইউক্রেনের পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।