মাঙ্কিপক্সের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণযোগ্য: ডব্লিউএইচও

জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সদর দপ্তর
ফাইল ছবি: এএফপি

আফ্রিকার বাইরে যেসব দেশে এখনো মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়নি সেই সব দেশের পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আফ্রিকার বাইরে এই ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬টি দেশে। এসব দেশের রোগীর সংখ্যা এক শর বেশি। এই পরিস্থিতিতে ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলো।

আফ্রিকায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছাড়ায় প্রায়শই। তবে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোয় এত দিন রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মারিয়া ভ্যান কারখভ বলেন, বর্তমান যে পরিস্থিতি তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘মানুষ থেকে মানুষে যাতে এই ভাইরাস না ছড়ায়, এটা আমরা চাই। যেসব দেশে এই ভাইরাস এখনো ছড়ায়নি সেসব দেশে আমরা এমন পদক্ষেপ নিতে পারি।’

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো অন্য বিশেষজ্ঞরাও এই ভাইরাস নিয়ে ইতিবাচক কথা বলছেন। অনেক বিশেষজ্ঞও বলছেন, অনেক মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হবেন, এই আশঙ্কা কম।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস জানায়, মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত বেশির ভাগ রোগীই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠেন। তবে মাঙ্কিপক্স তেমন গুরুতর না হলেও হঠাৎ রোগটির প্রাদুর্ভাব বিজ্ঞানীদের উদ্বিগ্ন করেছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই রোগে আক্রান্তদের জন্য নতুন নির্দেশাবলি দিয়েছেন। উচ্চঝুঁকিতে থাকা সংক্রমিত ব্যক্তিদের তিন সপ্তাহ স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘অবশ্যই করোনার মহামারি বিশ্বের একমাত্র সংকট নয়।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। যাঁরা গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে ইবোলা প্রাদুর্ভাব, মাঙ্কিপক্স ও অজানা কারণে সংক্রমিত হেপাটাইটিস এবং আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, ইউক্রেন ও ইয়েমেনের জটিল মানবিক সংকটে কাজ করেছে। আমরা রোগের ভয়াবহ বিস্তৃতির মুখোমুখি হয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈষম্য এবং ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে সৃষ্ট রোগ, খরা, দুর্ভিক্ষ ও যুদ্ধের এক ভয়ংকর প্রভাবেরও মুখোমুখি হয়েছি আমরা।’