পানিতে ডুব দিয়ে দৃষ্টিসীমার শেষ পর্যন্ত এত দিন হয়তো দেয়াল ছাড়া আর কিছু দেখা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার হবে। বলা হচ্ছে, সাঁতারুর ৩৬০ ডিগ্রি কোণে যা থাকবে, সবই দেখতে পারবেন তিনি। এমন একটি সুইমিংপুল তৈরি করা হচ্ছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে।
এই সুইমিংপুলে পার্শ্বদেশ এবং তলা থাকবে স্বচ্ছ। আর ওপরটা থাকবে খোলা। ফলে চোখ মেললে দেখা যাবে সব। বলা হচ্ছে, রোমাঞ্চপ্রিয় সাঁতারুরা খুব অল্প দিনের মধ্যেই এই ‘৩৬০ ডিগ্রি সুইমিংপুলে’ সাঁতারের স্বাদ পাবেন। এর নকশাকার দাবি করেছেন, বিশ্বে এমন সুইমিংপুল এটাই প্রথম। এর আগে এমন কোনো সুইমিংপুল তৈরি হয়নি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সুইমিংপুল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাস পুল এটির নকশা করেছে। এর পানি ধারণক্ষমতা ৬ লাখ লিটার। ৫৫ তলা ভবনের ওপর পুলটি তৈরি করা হবে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইনফিনিটি পুল’। এটি নির্মাণ করা হবে কাস্ট অ্যাক্রিলিক দিয়ে। ফলে ভ্রমণকারীরাও বাইরে থেকে দেখতে পারবেন পুলের ভেতর কী চলছে। এমনকি পুলের নিচ থেকেও এর ভেতরের দৃশ্য দেখা যাবে।
সত্যিকার অর্থেই বেশ ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হবে সাঁতারুদের। কারণ সুইমিংপুলটির বাইরে কোনো সিঁড়ি থাকবে না। একজন সাঁতারুকে সুইমিংপুলে পৌঁছাতে হলে তাকে নিচ থেকে পানির ভেতর দিয়ে একটি পেঁচানো সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে হবে।
এই সুইমিংপুল দেখতেও হবে নয়নাভিরাম। নকশাকারেরা বলছেন, পুলের আলোকসজ্জা এমন হবে, যেন রাতে এটি জ্বলজ্বল করে। কম্পাস পুলের ডিজাইনার এবং টেকনিক্যাল ডিরেক্টর অ্যালেক্স কেমস্লি এক সাক্ষাৎকার বলেছেন, ‘আমরা এই ভবনের নকশা করতে গিয়ে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছি। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, কীভাবে আমরা সুইমিংপুলে প্রবেশ করব। এর সমাধান পাই ডুবোজাহাজের দরজার নকশা থেকে।’
পুলের নিরাপত্তাও থাকছে যথেষ্ট। বায়ুমান যন্ত্র থাকবে সব সময়ের বাতাসের গতিবেগ মাপার জন্য। থাকবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা। আর এই সুইমিংপুলে পানি গরম করা হবে ভবনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ব্যবহার করে। এই সুইমিংপুলের নিচে একটি পাঁচ তারকা হোটেলও থাকবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২০ সালে ভবন ও সুইমিংপুলটির নির্মাণকাজ শুরু হবে।